রাত ৩ টের সময় আচমকা ঘুম ভেঙে যাচ্ছে...? এর 'আসল' কারণ কী জানেন? সময়ে সতর্ক হন, নইলে...!
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Sleep: ঘুম মানুষের শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখার অন্যতম শর্ত। কিন্তু আজকাল প্রায়শই দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ ঘুমের ব্যাঘাত অনুভব করেন। যার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল কোনও বাইরের শব্দ বা অ্যালার্ম ছাড়াই ঘুম ভেঙে যাওয়া বা ঘুমিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ ধড়ফড়িয়ে ওঠা।
advertisement
1/20

ঘুম মানুষের শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখার অন্যতম শর্ত। কিন্তু আজকাল প্রায়শই দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই মানুষ ঘুমের ব্যাঘাত অনুভব করেন। যার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল কোনও বাইরের শব্দ বা অ্যালার্ম ছাড়াই ঘুম ভেঙে যাওয়া বা ঘুমিয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ ধড়ফড়িয়ে ওঠা।
advertisement
2/20
অনেক ক্ষেত্রে আবার রাতে ঘন ঘন জেগে ওঠা, যাকে নিশাচর জাগরণও বলা হয় ঘুমের ব্যাঘাতের একটি লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। একটি মার্কিন সমীক্ষা অনুসারে, ৩৫.৫% মানুষ সপ্তাহে কমপক্ষে তিন রাত এমন নানা ধরণের কারণে জেগে থাকার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ২৩.০% মানুষ রাতে হঠাৎ ঘুম থেকে ওঠার কথা জানিয়েছেন।
advertisement
3/20
যদি আপনি এমন কেউ হন যিনি প্রায় প্রতি রাতে ভোর তিনটে বা অন্য কোনও সময়ে ঘুম থেকে উঠে পড়েন এবং তারপর আর ঘুম আসে না, তাহলে এর পিছনে কোনও অন্তর্নিহিত কারণ থাকতে পারে।
advertisement
4/20
এক্ষেত্রে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সঙ্গে পরামর্শ করলে সাহায্য পেতে পারেন। তবে এর সাধারণ কারণগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। এই প্রসঙ্গে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জানা জরুরি। AI Generated Image
advertisement
5/20
কেন প্রতি রাতে ৩টে নাগাদ অপনার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে?যদিও একজন ব্যক্তির কেন ভোর তিনটে বা মাঝরাতের দিকে ঘুম ভেঙে যায় তার সঠিক কারণ বলা সবসময় সম্ভব নয়, তবে এর বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে।
advertisement
6/20
এই বিষয়ে স্লিপ ফাউন্ডেশন বলছে, রাতের কিছু শব্দ, যেমন বাইরের ট্র্যাফিক, টেলিভিশন বা মোবাইল ফোনের শব্দ, এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। শুধু তাই নয়, আলোর সংস্পর্শেও আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
advertisement
7/20
এই পরিবেশগত কারণগুলি ছাড়াও, নকটুরিয়া বা ঘন ঘন বাথরুমের বিরতির মতো কিছু পরিস্থিতিও একজন ব্যক্তির রাতের ঘুম ভাঙিয়ে দিতে পারে।
advertisement
8/20
পুনের জুপিটার হাসপাতালের নিউরোলজির পরামর্শদাতা এবং পরিচালক ডাঃ রাজস দেশপাণ্ডে পরামর্শ দিয়েছেন যে সার্কাডিয়ান ছন্দে ব্যাঘাতের ফলে মাঝরাতে ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যেতে পারে।
advertisement
9/20
সার্কাডিয়ান ছন্দ, যা প্রায়শই শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি হিসাবে পরিচিত, একটি প্রাকৃতিক ২৪ ঘণ্টা চক্র যা শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, যার মধ্যে রয়েছে ঘুম থেকে ওঠার ধরণ। এটি মূলত আলো এবং অন্ধকারের মতো পরিবেশগত কারণগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয়, যা শরীরকে সজাগ থাকার বা ঘুমন্ত বোধ করার সঙ্কেত দেয়।
advertisement
10/20
বিশেষজ্ঞ বলছেন, যখন এই সার্কাডিয়ান ছন্দে ব্যাঘাত ঘটে, তখন এটি ঘুমের জন্য দায়ী হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এই ভারসাম্যহীনতার ফলে ঘুমিয়ে পড়তে অসুবিধা হতে পারে, রাতে ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যেতে পারে, অথবা নির্ধারিত সময়ের আগে ঘুম থেকে উঠতে হতে পারে।
advertisement
11/20
ডাক্তারের মতে, ঘুমের এই ধরণের ব্যাঘাতের ক্ষেত্রে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে ঘুমের অস্বাস্থ্যকরতা, শব্দ, তাপমাত্রা, মানসিক চাপ, রোগ, ঘুমের ব্যাধি, ওষুধ এবং ডিজিটাল গ্যাজেট।
advertisement
12/20
'ডিস্টার্বড' বা ব্যাহত সার্কাডিয়ান ছন্দ সম্পর্কে সবচেয়ে উদ্বেগজনক ও ভয়ের বিষয় হল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি ঘুমের ব্যাধি, শক্তির মাত্রা হ্রাস, স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং বিষন্নতার মতো দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এই কারণেই একটি সুস্থ সার্কাডিয়ান ছন্দ বজায় রাখার জন্য নিয়মিত ঘুম বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
13/20
স্ট্রেস এবং স্লিপ অ্যাপনিয়া:ডঃ দেশপাণ্ডে তাঁর পরামর্শে বলেন, "উচ্চ চাপের মাত্রা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, ঘুমের সময় বাড়িয়ে দেয় এবং আচমকা ঘুম ভেঙে যায়।" ঘুমের অভাব আমাদের শরীরের স্ট্রেস প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে, যার ফলে স্ট্রেস রাসায়নিকের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যার মধ্যে রয়েছে কর্টিসল যা ঘুমের আরও ব্যাঘাত ঘটায়।
advertisement
14/20
গবেষণা অনুসারে, এই ধরণের উদ্বেগ দ্রুত চোখের চলাচল (REM) শান্তিপূর্ণ ঘুমে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এই পর্যায়ে ঘুমের সময় আপনি স্পষ্ট স্বপ্ন দেখেন। উদ্বেগের কারণে ভীতিকর স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখা দিতে পারে যা আপনাকে জাগিয়ে তুলতে পারে।
advertisement
15/20
অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া হাইপোপনিয়া, যা প্রায়শই স্লিপ অ্যাপনিয়া নামে পরিচিত, ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যাঘাত দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের সময় ঘন ঘন শ্বাসনালীতে বাধা অনুভব করেন, যার ফলে নাক ডাকা ও হাঁপানির মতো সমস্যা হয়, অথবা শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এই ব্যাঘাতের ফলে দিনের বেলায় তন্দ্রা এবং ক্লান্ত ভাব দেখা দেয়।
advertisement
16/20
ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে উন্নত করা যায়:আপনার ঘুমের মান উন্নত করার জন্য কিছু সাধারণ কৌশল:প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার মাধ্যমে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘুমের সময়সূচী তৈরি করা
advertisement
17/20
ঘুমানোর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে দিন।ক্যাফেইন, নিকোটিন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করা।
advertisement
18/20
আপনার শোয়ার ঘরটি শান্ত, আরামদায়ক এবং ঠান্ডা তাপমাত্রায় রাখা।ঘুমানোর আগে বড় খাবার এড়িয়ে চলুন।
advertisement
19/20
পর্যাপ্ত সূর্যালোক পাওয়া।আপনার শোবার ঘরটি কেবল ঘুম এবং ঘনিষ্ঠতার জন্য ব্যবহার করা।শিথিলকরণ ব্যায়াম চেষ্টা করা।
advertisement
20/20
উপসংহারযদি আপনি এমন কেউ হন যিনি ভোর ৩টে বা মাঝরাতে ঘুম থেকে ওঠেন, তাহলে এর মূল কারণগুলি চিহ্নিত করা এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নির্দেশনার জন্য একজন ঘুম স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসা পেশাদারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
রাত ৩ টের সময় আচমকা ঘুম ভেঙে যাচ্ছে...? এর 'আসল' কারণ কী জানেন? সময়ে সতর্ক হন, নইলে...!