Shefali Jariwala Heart Attack: ডাক্তার না বললে ভুলেও এই ঔষুধ খাবেন না! শেফালি জরিওয়ালার মতো ভয়ঙ্কর হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন আপনিও...
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Shefali Jariwala Heart Attack: শেফালি জরিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যুর পর অ্যান্টি-এজিং ওষুধের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, এসব ওষুধ হার্টের কার্যক্রমে গোলযোগ তৈরি করে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক ডেকে আনতে পারে, যা প্রাণঘাতী হতে পারে৷
advertisement
1/9

বলি অভিনেত্রী ও ‘বিগ বস’ খ্যাত শেফালি জরিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যু অ্যান্টি-এজিং ওষুধ এবং হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। চিকিৎসকদের মতে, প্রেসক্রিপশন ছাড়া নেওয়া এসব ওষুধ হৃদ্যন্ত্রের বৈদ্যুতিক কার্যক্রমে গোলমাল তৈরি করতে পারে, যা প্রাণঘাতী কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ডেকে আনতে পারে।
advertisement
2/9
শেফালি জরিওয়ালা ৪২ বছর বয়সে হঠাৎ মারা যান। প্রাথমিকভাবে তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসেবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ধরা হয়েছে। পরিবারের লোকজনের মতে, তিনি কিছুদিন ধরে হৃদ্রোগে ভুগছিলেন এবং চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি স্বাভাবিক ছিলেন বলে জানা গেছে।
advertisement
3/9
রিপোর্ট অনুযায়ী, শেফালি গত ৫-৬ বছর ধরে নিজের ত্বক ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে অ্যান্টি-এজিং ওষুধ গ্রহণ করছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে—এই ওষুধ থেকেই কি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে? এই বিষয়ে মত দিয়েছেন দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র কার্ডিয়োলজিস্ট ডা. বনীতা অরোরা।
advertisement
4/9
ডা. বনীতা জানিয়েছেন, অ্যান্টি-এজিং ওষুধ যদি প্রেসক্রিপশন ছাড়া গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। এই ওষুধের বহু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, যার মধ্যে একটি হলো সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। এই ওষুধ হৃদ্যন্ত্রে ‘ইলেকট্রিকাল শর্ট সার্কিট’ তৈরি করতে পারে, যার ফলে হঠাৎ করেই হৃদ্যন্ত্র কাজ বন্ধ করে দেয়।
advertisement
5/9
এই অবস্থায় হার্ট রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দেয় এবং মস্তিষ্ক ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কখনো ঘুমের মধ্যে, আবার কখনো হাঁটাচলার মধ্যেও হতে পারে। এর কোনো পূর্ব-লক্ষণ দেখা যায় না।
advertisement
6/9
ডাক্তারের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে মানুষ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং হৃদ্স্পন্দন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। সাধারণত ৬০-৯০ bpm থাকা হার্টবিট এই সময়ে বেড়ে ২৫০-৩৫০ bpm হয়ে যায়। যদি কয়েক মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা না হয়, তাহলে রোগীর মৃত্যু হয়। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই রোগী হাসপাতাল পৌঁছানোর আগেই মারা যান।
advertisement
7/9
শুধু অ্যান্টি-এজিং নয়, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-হিস্টামিন ও অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধও হঠাৎ হৃদ্রোগের কারণ হতে পারে। ভারতে বহু মানুষ জ্বর-সর্দি-কাশিতে কেমিস্টের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে নেন, যা মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।
advertisement
8/9
হার্ট অ্যাটাক ও কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি কমাতে হলে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যারা অ্যান্টি-এজিং ওষুধ খেতে চান, তাঁদের অবশ্যই আগে একজন কার্ডিয়োলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কোনো ওষুধ নিজের সিদ্ধান্তে গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন, কারণ এটি তাঁদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
advertisement
9/9
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Shefali Jariwala Heart Attack: ডাক্তার না বললে ভুলেও এই ঔষুধ খাবেন না! শেফালি জরিওয়ালার মতো ভয়ঙ্কর হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন আপনিও...