Rice Liver Damage: বারবার ভাত গরম করে খান? অজান্তেই লিভার, কিডনির বারোটা বাজাচ্ছেন জানেন!

ভাত আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তবে এটি গরম করার ক্ষেত্রে অসাবধানতা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

ডায়েটিশিয়ান ডিম্পল জাংড়ার মতে, চালে ব্যাসিলাস সেরিয়াস (Bacillus Cereus) নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা দীর্ঘ সময় রুমের তাপমাত্রায় থাকলে বেড়ে যায়। ভাত গরম করার সময় এই ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয় না, বরং এটি বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে।

ফ্রিজে দীর্ঘ সময় ধরে ভাত সংরক্ষণ করে রাখলে এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া আফলাটক্সিন (Aflatoxins) তৈরি করে, যা লিভারের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে।

চাল গরম করার জন্য সতর্কতাসমূহ: সঠিকভাবে ভাত সংরক্ষণ এবং গরম না করলে চালে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, যা খাবার বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে পেট ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া বা বমি বমি ভাব হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, ব্যাকটেরিয়ার উৎপন্ন বিষ লিভার এবং কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

নিরাপদ খাবারের জন্য টাটকা রান্না করা ভাত খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি সংরক্ষণ করতে হয়, তবে চালকে দ্রুত ঠাণ্ডা করার জন্য ঠাণ্ডা জলে ডুবিয়ে রাখুন৷

এরপর এটিকে এক ঘণ্টার মধ্যে ফ্রিজে রেখে দিন। চাল গরম করার সময় ভালোভাবে ১৬৫°F (৭৫°C) পর্যন্ত গরম করুন।

মনে রাখবেন এই পদ্ধতি না মানলে শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে চলেছেন আপনি৷ ঘন ঘন ফ্রিজ থেকে বাসি ভাত বের করে খেলেই হবে না৷ এই নিয়ম মেনে চলতেই হবে আপনাকে৷

সবসময় নিশ্চিত করুন যে চাল ভালোভাবে গরম হয়েছে। হালকা গরম করা চাল ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।

রান্না করা চাল ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে ফেলুন এবং এটি একটি এয়ারটাইট পাত্রে রেখে ৪°C তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করুন যাতে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি না পায়।

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।