Raksha Bandhan 2022: রাখিতে কেন দিতে হয় তিন-তিনটি গিঁট? আসল কারণ জানলে অবাক হবেন!

আসছে রাখি পূর্ণিমা। ভাই-বোনের সম্পর্কে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিন ভাইয়ের সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে তাঁর কব্জিতে রাখি বেঁধে দেন বোনেরা। তবে আপনি জানেন কি রাখি পরানোর শাস্ত্রগত নিয়মগুলি? রাখিতে ঠিক কটা গিঁট বাঁধতে হবে তাও কি জানা আছে? কিন্তু শাস্ত্রে এই নিয়েও বিস্তারিত জানানো রয়েছে। শুধু ভাইয়ের হাতে রাখির ডোর বেঁধে দিলেই হবে না। এই বছর (Rakhi 2022) ভাইকে রাখি পরানোর আগে জেনে নিন ঠিক কী ভাবে ও কটা গিঁট দিয়ে বাঁধবেন এই রাখিটি এবং কী এর বিশেষ তাৎপর্য।

রাখি বাঁধার প্রচলিত নিয়ম:  রাখি পরানোর সময় প্রথমে ভাইয়ের মাথা একটি রুমাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। তার পর কপালে তিলক কেটে তাতে চাল লাগানো হয়। এর পর ভাইয়ের ডান দিকের হাতে রাখি বা রক্ষাসূত্রটি যত্ন করে বেঁধে দেওয়া হয়।

তবে রাখিতে কটা গিঁট বাঁধা উচিত, তা অনেকেই জানেন না। খেয়াল-খুশি মতো কেউ দুটি বা কেউ তিনটি গিঁট বেঁধে দেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক শাস্ত্রমতে রাখিতে কটা গিঁট বাঁধবেন?

শাস্ত্র মতে রাখি বাঁধার সময় তাতে তিনটি গিঁট দেওয়া উচিত। এই তিনটি গিঁটই পৃথক তাৎপর্য বহন করে। রাখির প্রথম গিঁট ভাইয়ের দীর্ঘায়ুর জন্য, দ্বিতীয় গিঁট বোনের নিজের দীর্ঘায়ুর জন্য এবং তৃতীয় গিঁট ভাই-বোনের পবিত্র সম্পর্ককে দীর্ঘজীবী করার জন্য বাঁধা হয়। এই তিনটি গিঁটই অত্যন্ত শুভ বলে মানা হয়। কখনোই রাখি বাঁধার সময় তিনটি গিঁট দিতে ভুলবেন না।

রাখি বন্ধনের প্রচলিত নিয়মনীতি ১. রাখির দিন (Rakhi 2022) সকালে তাড়াতাড়ি উঠে স্নান করে ঈশ্বরকে প্রণাম জানান। এরপর তাঁদের আশীর্বাদ নিয়েই দিন শুরু করবেন।

২. রুপো, পিতল বা তামার থালায় রাখি, অক্ষত, রোলী বা সিঁদূর রেখে নিন। জল বা আতর দিয়ে এগুলিকে সামান্য ভিজিয়ে নেবেন।

৩. রাখির থালা ঠাকুরের সামনে রেখে দিন। তার পর প্রথম রাখি নিজের ইষ্ট দেবতাকে অর্পণ করুন।

৪. রাখি বাঁধার সময় পূর্ব দিকে মুখ করে ভাইকে বসতে হবে। পূর্ব দিকে মুখ করে বসলে দেবতাদের আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলেই শাস্ত্রে বলা হয়।

৫. রাখি বাঁধার সময় ভাইয়ের মাথা কোনও রুমাল দিয়ে ভালো ভাবে ঢেকে দিন। এর ফলে তাঁর আয়ু লম্বা হবে ও সমস্ত সংকট থেকে রক্ষা পাবেন আপনার দাদা বা ভাই।

৬. এর পর ভাইয়ের কপালে রোলীর তিলক করুন। তিলকের ওপর সামান্য অক্ষত বা চাল লাগিয়ে ভাইয়ের মাথায় আশীর্বাদ স্বরূপ কিছু চাল ছিটিয়ে দিন।

৭. প্রদীপ জ্বেলে আরতি করবেন। এর ফলে তাঁর সমস্ত নজর দোষ দূর হবে।

৮. ইষ্ট দেবতাকে স্মরণ করে ডান হাতে রাখি বাঁধুন। এরফলে রাখির সুতোয় শক্তির সঞ্চার হবে।

৯. রাখি পরানোর পরে ভাই-বোনেরা একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ান ও ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে উৎসবের সমাপ্তি করুন।