Raisins: কিশমিশের মতো দেখতে কিন্তু কিশমিশ নয়! এই কালো ড্রাই ফ্রুটসের নাম জানেন কী? কিশমিশের সঙ্গে পার্থক‍্য কোথায়? ৯৯% লোকজনই জানেন না

কিশমিশের উপকারীতা প্রচুর। ছোট্ট ছোট্ট এই ‘শুকনো ফলের (ড্রাই ফ্রুটস)’ মধ‍্যেই রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। প্রচুর জনের অন‍্যান‍্য ড্রাই ফ্রুটসের চেয়ে অনেক বেশি পছন্দের। কাজুর মতোই প্রচুর খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেও ব‍্যবহার করা হয় কিশমিশ।

বিশেষজ্ঞরা জানালেন কিশমিশ ভিজিয়ে খাওয়া অনেক উপকারী। কিশমিশ বিভিন্ন ধরণের হয়। এর রংও বিভিন্ন হয়, লাল, হলুদ, কমলা, সবুজ, কালো ইত্যাদি। কিন্ত বাজারে কিশমিশের মতোই দেখতে বাজারে পাওয়া যায় আরও একটি ড্রাই ফ্রুট।

কিশমিশের মতোই দেখতে এই ড্রাই ফ্রুট কিন্তু আসলে কিশমিশ নয়। অনেকেই এটিকে কালো রঙের কিশমিশ ভেবে ভুল করে থাকেন। কিন্তু এই ড্রাই ফ্রুটের নাম হল মুনাক্কা।

মুনাক্কা এবং কিশমিশের মধ‍্যে বেশ কিছু পার্থক‍্য রয়েছে। অনেকটা একই রকম দেখতে হলেও কিশমিশ আর মুনাক্কা একেবারে আলাদা দুটি ড্রাই ফ্রুট। কীভাবে বাজারে দেখে চিনবেন কোনটা কিশমিশ এবং কোনটা মুনাক্কা।

আঙুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় কিশমিশ। অনেক ধরণের রঙের হয় কিশমিশ। মুনাক্কাও একপ্রকার আঙুর শুকিয়েই তৈরি করা হয়। তবে দুই আঙুরের প্রজাতি একেবারে আলাদা৷ প্রতীকী ছবি ৷

কিশমিশ এবং মুনাক্কা মধ্যে উপস্থিত পুষ্টি উপাদানেও অনেক পার্থক্য থাকে। যদিও, কিশমিশ এবং মুনাক্কা খাওয়া শরীরে আয়রন এবং রক্তের অভাব পূরণ করে। কিশমিশ খাওয়া থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। আঙ্গুরকে যখন শুকিয়ে কিশমিশ বানানো হয় তখন এতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান কমে না। কিশমিশ এর স্বাদ মিষ্টি হয়।

মুনাক্কাও আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয়, কিন্তু মুনাক্কা এর আকার কিশমিশ থেকে বড় হয়। এর কারণ হল যে আঙ্গুর থেকে মুনাক্কা তৈরি হয়, তা বড় হয়। মুনাক্কা এর স্বাদও মিষ্টি হয়। পেটের জন্য এটি স্বাস্থ্যকর। গ্যাস, ব্লোটিং, অপচ থেকে রক্ষা করে।

কিশমিশ আকারে ছোট এবং মুনাক্কা আকারে বড় হয়। মুনাক্কা এর রং কালো মতো হয়। কিশমিশ এর স্বাদ টক-মিষ্টি হয় এবং মুনাক্কা মিষ্টি হয়। কিশমিশ ছোট আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয়। মুনাক্কা বড় এবং পাকা আঙ্গুর থেকে তৈরি করা হয়। তাই এর আকার কিশমিশ থেকে বড় হয়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)