Pet Dogs: প্রচুর বাড়ির কুকুর মারা যাচ্ছে এই একটি রোগের কারণে! উপসর্গ কী কী? প্রিয় পোষ্যকে বাঁচাতে কী করতে হবে জানেন তো!
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Pet Dogs: পোষ্যের শরীরে এই ধরনের পরজীবী বাসা বাঁধলে কিন্তু আপনাকে সচেতন হতে হবে। সঠিক সময় ধরতে না পারলে কিন্তু পোষ্যের শরীরে নানা অঙ্গেরও ক্ষতি করতে পারে এই পরজীবী।
advertisement
1/8

মাঝে মাঝে বৃষ্টি। মাঝে মাঝে রোদ। এই আবহাওয়ায় নিজের খেয়াল কী করে রাখবেন, সে বিষয়ে হয়তো আপনি সচেতন। কিন্তু বাড়ির পোষ্যটিরও এই সময়ে দরকার বিশেষ যত্ন। এই সময় কুকুরদের ‘টিক ফিভার’ বা উকুনের কারণে তীব্র জ্বর আসতে পারে। এই প্রকার পরজীবী এক বার আপনার পোষ্যের শরীরে বাসা বাঁধলে চুলকানি, জ্বালাপোড়া, পশম পড়ে যাওয়া, ঘা সৃষ্টি, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি নানা সমস্যা তৈরি হয়। এমনকী বাড়ির প্রচুর পোষ্য কুকুরের মৃত্যুও ঘটছে এই রোগে। ইদানীং সেই সমস্যা মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, টিক বাহিত রোগ ব্যাবেসিয়া আক্রান্ত হয়েছিল সেলিব্রিটি কুকুর সন্টু। চিকিৎসা করা হলেও লাভ হয়নি।
advertisement
2/8
পোষ্যের শরীরে এই ধরনের পরজীবী বাসা বাঁধলে কিন্তু আপনাকে সচেতন হতে হবে। সঠিক সময় ধরতে না পারলে কিন্তু পোষ্যের শরীরে নানা অঙ্গেরও ক্ষতি করতে পারে এই পরজীবী। তবে এই পরজীবীগুলি আকারে এতটাই ছোট হয় যে, চোখে ধরা পড়ে না। আর এই পোকা কামড়ালে যে জ্বর হয় তার সঙ্গে সাধারণ জ্বরের ফারাক করা মুশকিল।
advertisement
3/8
সাধারণত এই পরজীবী পোষ্যকে কামড়ানোর ৭-২১ দিনের মধ্যে তার শরীরে উপসর্গগুলি দেখা যায়। এই পরজীবী আক্রমণের প্রাথমিক পর্যায় তাদের ক্লান্ত দেখায়। তাদের শরীরে আলস্য আসে। যত দিন বাড়তে থাকে ততই জ্বরের মতো উপসর্গগুলি প্রকট হয়।
advertisement
4/8
বিশেষ এক ধরনের পোকার কামড়ে জ্বরে আক্রান্ত হয় চারপেয়েরা। বলা হয়, টিক ফিভার। সেইসঙ্গে দ্রুত গতিতে শরীরে বাড়তে থাকে পোকার সংখ্য়া। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার, কিডনি। পরজীবীর সংক্রমণে শুধু জ্বর নয়, ব্যাবেসিয়া, অ্যানাপ্লাজমা-সহ একাধিক রোগ বাসা বাঁধে শরীরে যা কেড়ে নিতে পারে প্রাণও। ঠিক যেমনটা হয়েছে সন্টুর ক্ষেত্রেও।
advertisement
5/8
তাহলে কীভাবে সতর্ক হবেন? মূলত পথকুকুরদের শরীর থেকেই মানুষের জুতোয় এই পোকা ঢুকে পড়ে চার দেওয়ালের মধ্যে। যা পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়ে আপনার প্রিয় পোষ্যের গায়ে। তবে চারপেয়েকে বাইরে নিয়ে গেলেও আসতে পারে টিক। এক্ষেত্রে প্রথমে মাথায় রাখবেন, পোষ্যকে সর্বদা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাইরে থেকে এলেই থাম্ব প্যাড পরিষ্কার করতে হবে। নখের চারপাশেও অনেক সময় পোকা থাকে। সেদিকে নজর দিতে হবে।
advertisement
6/8
প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবহারের জন্য বাজারে বহু স্প্রে পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ শ্যাম্পুও। বাজারে এক ধরনের ‘টিক কলার’ পাওয়া যায়। যা গলায় পরিয়ে রাখলে আপনার অজান্তেই পোষ্যের শরীর থেকে ভ্য়ানিশ হয়ে যায় পোকা। তবে এর মেয়াদ ৯ মাস থেকে ১ বছর। তারপর এই বেল্টটি আর কাজ করে না।
advertisement
7/8
পোষ্যের শরীরে কোন উপসর্গগুলি দেখলে সতর্ক হবেন? ১০৩ ডিগ্রী ফারেনহাইটের উপর জ্বর, খাবারে অরুচি, ডায়ারিয়া এবং বমিভাব, লসিকাগুলি ফুলে যাওয়া, মলের সঙ্গে রক্তপাত, নাক থেকেও রক্ত বেরোয়, শ্বাস নিতে কষ্ট, পেটে ব্যথা, মুখের ভিতরে লাল-বেগুনি ছোপ দেখা যায়।
advertisement
8/8
এই ধরনের কোনও সমস্যা দেখলেই পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বাড়িতে এর চিকিৎসা করা যাবে না। তাই উপসর্গগুলি দেখলেই সতর্ক হন।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Pet Dogs: প্রচুর বাড়ির কুকুর মারা যাচ্ছে এই একটি রোগের কারণে! উপসর্গ কী কী? প্রিয় পোষ্যকে বাঁচাতে কী করতে হবে জানেন তো!