Parenting Tips: অল্প কথায় রেগে যায় সন্তান! বিপথে চালিত হলেই শেষ সব, সহজ এই ৫ উপায়েই মুশকিল আসান

অভিভাবকত্ব একটি বিশাল দায়িত্ব। বাচ্চাদের লালন-পালন করার কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। তিরস্কারের পরিবর্তে বোঝাপড়াই আসল সমাধান। বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীরা প্রায়ই বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। কথায় কথায় রাগ দেখায়। এমন অবস্থায় অভিভাবকদের কী করা উচিত? জেনে নেওয়া যাক।

বাচ্চারা অভিভাবদের আচরণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। শান্ত থাকা এবং বন্ধুত্বের সঙ্গে তাদের কাছে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। চিৎকার-চেঁচামেচি তাদের আগ্রাসী করে তুলতে পারে। মা-বাবার সঙ্গে যুক্তিপূর্ণ আলোচনা করা তাদের সামাজিক বিকাশকে সমর্থন করে। বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সম্মান বাড়িয়ে তোলে।

অভিভাবকদের কিশোর-কিশোরীদের পরিবর্তনশীল আচরণের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। কিছু বাবা-মা হয়তো বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তনগুলিকে রুটিন হিসাবে দেখতে পারেন। এবং সেগুলি উপেক্ষা করতে পারেন। কিন্তু এই পদ্ধতিটি যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ এটি কিশোরদের বিপথে নিয়ে যেতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে নির্দেশিকা নির্ধারণ করা এবং আপনার সন্তানদের সেগুলি মেনে চলা নিশ্চিত করা তাদের সুস্থতা এবং বিকাশের জন্য অপরিহার্য।

ছেলেমেয়ে কাদের সঙ্গে মিশছে, তা নিয়ে মা-বাবাদের সচেতন হওয়া উচিত। সন্তানের সুরক্ষার জন্য তাদের বন্ধুদের বাড়িতে ডাকা, বাইরে তাদের সঙ্গে দেখা করা, তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, তাদের স্কুল এবং কোচিং শিক্ষকদের সঙ্গে একটি সংযোগ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজগুলি আপনার সন্তানকে খারাপ প্রভাবের মধ্যে পড়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

ব্যর্থতার সময় তাদের নিরুৎসাহিত করবেন না। বকাবকি করলে বাচ্চাদের মনে হতে পারে যে, মা-বাব তাদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল নন। পরিবর্তে তাদের ভবিষ্যত প্রচেষ্টায় সাফল্যের জন্য সমর্থন করুন।

শিশুরা তাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে না পারলে প্রায়ই হতাশ হয়ে পড়ে। অভিভাবকরা তাদের ছোটবেলা থেকেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ শেখানোর মাধ্যমে সাহায্য করতে পারেন। বাচ্চাদের ভয় ছাড়াই তাদের চিন্তাভাবনা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিরাপদ বোধ করা উচিত এবং মা-বাবার উচিত তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা। সেটি শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে।