রোজের ডায়েটে চিজ না পনির—কী খেলে শরীর হবে চনমনে আর শক্তিশালী?
- Published by:Soumendu Chakraborty
Last Updated:
অনেক খাবারেই স্বাদ বাড়ানোর জন্য চিজ বা পনির ব্যবহার করা হয়, কিন্তু আপনি কি জানেন এর মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর? আপনি যদি ওজন কমানো বা মাংসপেশি গঠনের জন্য এগুলো খেতে চান, তাহলে আগে জেনে নিন—ডায়েটে কোনটি অন্তর্ভুক্ত করা আপনার জন্য বেশি উপকারী হবে।
advertisement
1/5

আজকাল স্বাস্থ্যকর ডায়েট নিয়ে মানুষের মনে সবচেয়ে বড় প্রশ্নগুলোর একটি হলো—চিজ বেশি উপকারী, নাকি পনির? দুটিই দুধ থেকে তৈরি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার এবং শরীরের শক্তি বাড়ানোর জন্য ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে স্বাস্থ্যের দিক থেকে এই দুইয়ের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে, তা নির্ভর করে আপনার বয়স, জীবনযাপন পদ্ধতি, ফিটনেস লক্ষ্য এবং হজম ক্ষমতার উপর। আপনি যদি জানতে চান চিজ আর পনিরের মধ্যে কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর এবং কোনটি শরীরকে বেশি শক্তি দেয়, তাহলে এই তুলনাটি বোঝা খুবই জরুরি।
advertisement
2/5
ভারতে পনিরকে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর দুগ্ধজাত পণ্যের মধ্যে অন্যতম হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি ফুল-ফ্যাট দুধ দিয়ে তৈরি এবং এতে উচ্চমানের প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন বি১২ প্রচুর পরিমাণে থাকে। পনিরে থাকা কেসিন প্রোটিন ধীরে ধীরে হজম হয়, ফলে পেশি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি পায়। এ কারণেই জিম করা মানুষ, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং রোগ সেরে ওঠার পর্যায়ে থাকা রোগীদের জন্য পনির খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এছাড়া পনিরে ট্রান্স ফ্যাট থাকে না, তাই এটি হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো বিকল্প। সঠিক পরিমাণে পনির খেলে হাড় মজবুত হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীর প্রাকৃতিক শক্তি পায়।
advertisement
3/5
অন্যদিকে, চিজের স্বাদ অনেকেরই বেশি পছন্দ হলেও স্বাস্থ্যের দিক থেকে এটি পনিরের তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে। চিজে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম প্রচুর থাকলেও এর সঙ্গে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও সোডিয়ামের মাত্রাও বেশি থাকে। বিশেষ করে প্রসেসড চিজ ওজন বৃদ্ধি, কোলেস্টেরল বাড়ানো এবং হৃদ্রোগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণ হতে পারে। তবে হার্ড চিজ বা ন্যাচারাল চিজ—যেমন চেডার বা মোৎজারেলা—সীমিত পরিমাণে খেলে তা দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে এবং দুর্বল শরীরে তৎক্ষণাৎ এনার্জি দেয়। কিন্তু প্রতিদিন ও অতিরিক্ত পরিমাণে চিজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
advertisement
4/5
যদি শক্তি ও ফিটনেসের কথা বলা হয়, তাহলে পনিরকে তুলনামূলকভাবে বেশি ভারসাম্যপূর্ণ বিকল্প হিসেবে ধরা হয়। এটি মাংসপেশি গঠন, ওজন কমানো এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপযোগী। অন্যদিকে চিজ তাদের জন্য উপযুক্ত, যাদের দ্রুত এনার্জির প্রয়োজন বা যারা খুব বেশি শারীরিক পরিশ্রম করেন, তবে তাদেরও চিজ সীমিত পরিমাণেই খাওয়া উচিত।
advertisement
5/5
সব মিলিয়ে বলা যায়, যদি আপনি দৈনন্দিন ডায়েটে স্বাস্থ্যকর ও শক্তি বাড়ানো খাবার খুঁজে থাকেন, তাহলে চিজের তুলনায় পনিরকেই বেশি নিরাপদ ও উপকারী ধরা হয়। সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক উপায়ে পনির খেলে তা শরীরকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।