New Covid Variants in India: সাবধান, ভারতে আত্মপ্রকাশ COVID-এর দুই নতুন ভ্যারিয়েন্ট! কী কী সতর্কতা প্রয়োজন জানুন...

ভারতে ফের একবার ধীরে ধীরে বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে কর্ণাটক, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য সতর্কতামূলক স্বাস্থ্য পরামর্শ জারি করেছে। তবে সরকার নাগরিকদের আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

২০২৫ সালের ২৫ মে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৫। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপসর্গ মৃদু এবং বাড়িতে আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা চলছে।

এই সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দুটি নতুন করোনা সাবভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে। ভারতের সার্স-কোভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম (INSACOG) NB.1.8.1 ও LF.7 নামক দুই সাবভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই দুই সাবভ্যারিয়েন্টকে “Variants Under Monitoring” হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। অর্থাৎ এগুলি এখনো “Variants of Concern” বা “Variants of Interest” নয়। ফলে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য এখনো বড় ঝুঁকির আশঙ্কা নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, NB.1.8.1 সাবভ্যারিয়েন্টে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্পাইক প্রোটিন মিউটেশন (A435S, V445H, এবং T478I) রয়েছে, যা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা ও ইমিউনিটি এড়িয়ে যাওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে পারে।

তবে এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই ভ্যারিয়েন্টগুলি আগের তুলনায় বেশি মারাত্মক নয় এবং মৃত্যুহারও বাড়ায় না।

বর্তমানে ভারতে সংক্রমণের মূল কারণ JN.1 ভ্যারিয়েন্ট, যা সাম্প্রতিক সংক্রমণের প্রায় ৫৩% এর জন্য দায়ী।

এই নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দুটি মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে, যা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে কর্ণাটকে, যেখানে এক ৮৪ বছর বয়সী ব্যক্তি কো-মরবিডিটির কারণে মাল্টি-অর্গান ফেলিওরের কারণে মারা যান।

দ্বিতীয় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে মহারাষ্ট্রের থানে-তে। ২১ বছর বয়সী এক রোগী ২২ মে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ কালওয়া হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মৃত্যু হয়।

এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, মৃত্যুর ঘটনাগুলি বয়স্ক বা আগে থেকেই অসুস্থ রোগীদের মধ্যে ঘটেছে, যারা করোনার জটিলতায় ভুগছিলেন।

এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সরকার পরামর্শ দিচ্ছেন, আগের মতোই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। টিকা নেওয়া, মাস্ক ব্যবহার, ভিড় এড়ানো ও হাত ধোয়ার অভ্যাস বজায় রাখতে হবে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু জনগণকে সচেতন থাকতে হবে, যাতে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলো বড় আকার না নিতে পারে।

দিল্লি এআইআইএমএস-এর চিফ পালমোনোলজিস্ট ডা. অনুরাগ মিত্র বলেছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট NB.1.8.1 ও LF.7-এর সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও এখনো তীব্রতা কম। তবে প্রতিটি নাগরিকের উচিত মাস্ক পরা, টিকাকরণ সম্পূর্ণ করা এবং লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।”

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।