Liver Disease:সকালের চায়ে ১ চিমটে করে ২ মশলা! ধুয়েমুছে সাফ লিভারের রোগ! গ্যাস অম্বল চোঁয়া ঢেকুরের অস্বস্তি কাটিয়ে পরিষ্কার পেট

সকালে খালি পেটে পান করুন আদা এবং হলুদ মেশানো উষ্ণ জল। সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই সোনালি চা হজমে উপকারী। রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করে। এছাড়াও একাধিক গুণের ভান্ডার এই পানীয়। বলছেন পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা।

আদা এবং হলুদ ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়িয়ে তোলে। ফলে ব্লাড সুগারের মাত্রা বশে থাকে। দিনভর শক্তির যোগান দেয় এই পানীয়। ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে।

কাঁচা হলুদ ইনফ্লেম্যাশন কমায়। মস্তিষ্কের কাজ ক্ষুরধার করে তোলে। হলুদের কারকিউমিন যৌগ স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে। মনঃসংযোগে সাহায্য করে। এই চায়ে আদা যোগ করলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল মসৃণ হয়।

ইনফ্লেম্যাশন কমাতে কাঁচা হলুদ উপকারী। মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়িয়ে তোলে এই মশলা। হলুদের কারকিউমিন স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে। সারা দিন তরতাজা থাকতে সাহায্য করে।

গাঁটের ব্যথা কমাতেও এই সোনালি চা খুবই উপকারী। আর্থ্রাইটিস, মর্নিং স্টিফনেসের সমস্যা কমিয়ে মসৃণ করে তোলে এই পানীয়র গুণাগুণ।

লিভারে স্বাভাবিক ডিটক্স প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে এই সোনালি চা। কাঁচা হলুদের গুণে পিত্তরসের ক্ষরণ হয়। আদার রসের গুণে হজম প্রক্রিয়া মসৃণ থাকে। লিভার ইনফ্লেম্যাশন কমায়। লিভারের রোগ কমায় এই পানীয়ের গুণ।

সব রকম পেটের রোগ দূর করে এই চা। গাট ব্যাক্টেরিয়া কমিয়ে গ্যাস, অম্বল, চোঁয়া ঢেকুর নিয়ন্ত্রণ করে এই পানীয়। সকালে খালি পেটে এই পানীয় পান করলে যকৃতের সব অস্বস্তি দূর করে।

হলুদের গুণে ত্বকের জেল্লা ধরা থাকে। বলিরেখা বা অন্য কোনও বয়সের ছাপ পড়তে পারে না ত্বকে। ব্লাড সার্কুলেশন মসৃণ রেখে ত্বককে উজ্জ্বল রাখে।

১ ইঞ্চি করে আদা ও হলুদ নিন। হাফ চামচ লেবুর রস, গোলমরিচ, ১ চামচ মধু ও হাফ কাপ জল নিন। মধু বাদে সব উপকরণ জলে মিশিয়ে ফোটান। তার পর ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে পান করুন। রোজ ৩০-৫০ মিলিলিটার এই পানীয় পান করুন।