কিডনি 'fail'-এর সংকেত! 'এই' লক্ষণগুলো শরীরে এলেই সতর্ক হন, ফেলে রাখলেই সব শেষ...!

কিডনি শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে একটি। এগুলো ফিল্টার হিসেবে কাজ করে যা শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে। তাদের কাজ রক্ত থেকে বর্জ্য এবং বিষাক্ত পদার্থগুলিকে ফিল্টার করা এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত করা। যদি তারা সঠিকভাবে কাজ না করে, পুরো শরীর প্রভাবিত হয়। এমনকি ছোটখাটো সমস্যাও মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

কিডনি শরীরে জলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নাইট্রোজেন, টক্সিন এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য রাখে। এই ফাংশনগুলি সঠিকভাবে সম্পন্ন না হলে, কিডনি রোগ, হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি রয়েছে। সেজন্য তাদের সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। কিডনি ব্যথা এবং কিডনি রোগের লক্ষণগুলি জানাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কিডনিতে সমস্যা হলে আমাদের শরীর কিছু সংকেত দেয়। বিশেষ করে যাদের কিডনিতে পাথর বা ইনফেকশন আছে, তাঁরা পিঠে (বিশেষ করে নিচের অংশে) বা তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন। একইভাবে, প্রস্রাবের সমস্যাও কিডনির সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। যেমন, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব করতে অসুবিধা, প্রস্রাবে রক্ত বা ফেনা।

এই ব্যথা আসতে পারে এবং যেতে পারে, একবারে নয়। প্রস্রাবের রক্ত গোলাপি, লাল বা বাদামি হতে পারে। এই ব্যথার কারণে বমি বমি ভাব এবং বমির মতো সমস্যা অনুভব করতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে, জ্বর হতে পারে। জ্বর সংক্রমণের লক্ষণ।

কিডনি আক্রান্ত হলে প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, জ্বর, শরীরের কোনও অংশে ফুলে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে জল জমে থাকে এবং ফোলাভাব দেখা দেয়। এছাড়াও, রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণে ক্লান্তি এবং দুর্বলতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

কিডনিতে রোগ হয় যখন কিডনি, ফিল্টার যা আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে, সঠিকভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়। এটি ধীরে ধীরে ঘটতে পারে (দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ) বা হঠাৎ (তীব্র কিডনি ব্যর্থতা)। এটি প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও ব্যথার কারণ হতে পারে না, তবে এটি অন্যান্য উপসর্গ যেমন ক্লান্তি এবং প্রস্রাবের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

কিডনি রোগ সাধারণত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, সংক্রমণ বা ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে হয়ে থাকে। অতিরিক্ত লবণ বা চিনি খাওয়া, পর্যাপ্ত জল পান না করা এবং ব্যায়াম না করাও কিডনির পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারও কিডনির ক্ষতি করতে পারে।

ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করলেও কিডনি রোগ হতে পারে। আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে, লবণ, চিনি এবং প্রোটিন কম খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন 2-3 লিটার পানি পান করুন। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো অবস্থা রয়েছে তাদের কিডনির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য নিয়মিত ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। <strong>Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।</strong>