Korpur Health Benifits: এক টুকরো কর্পূর ঘষলে পিঠ থেকে হাঁটু ব্যথার উপশম নিমেষে, ত্বকেও আনবে মোমের জেল্লা, চুলের জন্যও উপকারী, কর্পূরের গুণ বলে শেষ করা যাবে না

বাড়িতে পুজো থেকে শুরু করে পোকামাকড়ের উপদ্রব শুরু হলেও কর্পূরের প্রয়োজন হয়। রোজকার গার্হস্থ্য ব্যবহার ছাড়াও কর্পূরকে নানা ভাবে কাজে লাগানো যায়। তাই দারুণ কার্যকর এই কর্পূর।

অভিজ্ঞ চিকিৎসক তুহীন শর্মা জানান, কর্পূরের গুঁড়ো বা কর্পূরের তেলের ব্যবহার করলে নানা অসুখ সেরে যায় সহজেই। ঠিক তেমনই ত্বকের যত্নে করতে দারুণ ভাবে কাজে আসে এই সাধারণ কর্পূর।

মরশুম বদলের সময় বুকে কফ জমা, ঠান্ডা লাগা এবং শ্লেষ্মাজনিত সমস্যা লেগেই থাকে বহু মানুষের। এমন সমস্যা হলে গরম সর্ষের তেলের সঙ্গে সামান্য কর্পূর গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।

ত্বকে চুলকানি বা র‍্যাশের সমস্যা দূর করতে পারে এই সাধারণ কর্পূর। এক টুকরো ভোজ্য কর্পূরকে জলের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে নিলেই চুলকানি বা র‍্যাশের সমস্যা দূর হবে।

তবে মুখের ত্বকে কর্পূরের ব্যবহারের আগেই অবশ্যই হাতে-পায়ের ত্বকে ব্যবহার করে দেখে নিতে হবে। যদি কোনও রকম সমস্যা হয় ত্বকের মধ্যে। তবে ত্বকের মধ্যে কর্পূর ব্যবহার না করাই বেশি ভাল।

সারা বছর ধরে মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকে। নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে চুলে মাখতে পারেন। ঘণ্টাখানেক পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিলে সমস্যা মিটবে।

পেশিতে টান লাগলে কিংবা পিঠে বা কোমরে যন্ত্রণা হতে থাকে। সেক্ষেত্রে কর্পূর তেল দিয়ে হালকা করে মালিশ করতে পারেন। এতে টান লাগা কিংবা পিঠে বা কোমরে ব্যথা থেকে উপকার পাওয়া সম্ভব দ্রুত।

অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করতেও কপূরের দারুণ ভূমিকা পালন করে। ঘরে কর্পূর জ্বালিয়ে সেই ধোয়া ঘরে ছড়িয়ে দেওয়া ভাল। কর্পূরের সুন্দর এই সুবাস ভাল ঘুম আনতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে।