Dooars: বর্ষার ডুয়ার্স অপরূপ, রাজাভাতখাওয়া থেকে লেপচাখা, স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে ঘুরে আসুন

*১৫ অগাস্টের সময় বড় ছুটি রয়েছে। ঘরে আর মন টিকছে না। একঘেয়েমি জীবনের ছক ভাঙতে ইচ্ছে হচ্ছে। তাহলে ব‍্যাগ প‍্যাক করে বেরিয়ে পড়ুন। আপনার গন্তব‍্য হক আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা জঙ্গলের পর্যটনস্থানগুলি।

*বক্সার জঙ্গল মানেই রাজাভাতখাওয়া। দু-পাশে ঘন জঙ্গল মাঝে চলে যায় রাস্তা। এই নৈসর্গিক দৃশ্য ছাড়া এখানে দেখার মতো হল বন দফতরের তৈরি মিউজিয়াম ও অর্কিড হাউস। এখানে বন থেকে সংগৃহীত নানা ধরণের প্রাণীর ফসিল রাখা রয়েছে। এখানে অনেক বন্যপ্রাণীর প্রতিকৃতিও রাখা আছে। অর্কিড হাউসে দেখা মেলে নাম না জানা হাজারও অর্কিডের। কিন্তু এই সবকিছুই ছবি তোলা বা স্পর্শ করা নিষিদ্ধ।

*রাজাভাতখাওয়ায় প্রজাপতি পার্কটি সম্প্রতি তৈরি হয়েছে এবং এটি পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রজাপতিদের জন্য উপযুক্ত এবং বিভিন্ন ধরণের প্রজাপতি এখানে দেখতে পাওয়া যায়। বক্সার জঙ্গলে দেখা যায় ইয়লো গর্গন, গ্রেট নবাব, কমন নবাব, রেড বেস, কমন রোজ, গ্রেট ওরেঞ্জ স্ট্রিপ, টনি রাজা, কমন রোজ-সহ নানা ধরনের প্রজাপতি। বছরের নানা সময় ঝাঁক বেধে প্রজাপতিরা মাটিতে বসে নানা খনিজ সংগ্রহ করে। সেই সময় ছবি তোলার জন্য ভিড় জমান ফটোগ্রাফাররা।

*আলিপুরদুয়ারের জয়ন্তী, বক্সা টাইগার রিজার্ভের অন্তর্গত একটি সুন্দর স্থান, যা জয়ন্তী নদীর তীরে অবস্থিত। হাতি বা দাগযুক্ত হরিণের পাল বা প্রচুর ময়ূরের সঙ্গে দেখা হওয়া জয়ন্তীতে যাওয়ার পথে সবচেয়ে সাধারণ দৃশ্য। জয়ন্তীর কাছেই একটি পোখরি আছে যা স্থানীয়দের কাছে ভয়ের জায়গা বলে মনে করা হয়। পোখরির জলে বিশাল আকারের মাগুর এবং কচ্ছপের বিশাল সংখ্যা দেখার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত জায়গা এবং এই জায়গার সৌন্দর্য অবশ্যই একটি সতেজ প্রভাব ফেলে।

*সান্তলাবাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বক্সা দুর্গ। তবে কোনও গাড়ি যায় না সেখানে। ৫ কিলোমিটার পথ ট্রেকিং করে যেতে হবে। তারপর দেখা মিলবে প্রাচীন বক্সা দুর্গের। ইংরেজদের দুর্গ দখল থেকে শুরু করে সেখানে বিপ্লবীদের বন্দি করে রাখার নানা ইতিহাস জানা যাবে। এলাকার বাসিন্দাদের আতিথেয়তায় মন মুগ্ধ হবে আপনার।

*ভুটানের কাছে ছোট্ট গ্রাম লেপচাখা যা আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা টাইগার রিজার্ভের একটি অংশ। এই জায়গাটিকে ডুয়ার্সের স্বর্গ বলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত পাহাড়ি এই গ্রামটি। কখনও রোদ ঝলমলে দুপুরের আকাশে হটাৎ উড়ে আসা মেঘের চাদর, ক্ষণিকের জন্য ঢেকে দিয়ে যায় লেপচাখাকে। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা গ্রামটি। সুন্দর বনানীর মধ্য দিয়ে চওড়া পথ। ভদ্রস্থ চড়াই পথ। যেকোনো বয়সের মানুষ এ পথে আরামে চলতে পারবেন। পথের মাঝে দু’ধারে নানা রঙের ফুলের গাছ। বক্সা দুর্গ থেকে ৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই এলাকা।