Weekend Trip: দিঘা-মন্দারমণি ছাড়ুন! কলকাতার কাছেই ৬ রোম্যান্টিক সি-বিচ চিনুন, ১৫ অগাস্টের লম্বা ছুটিতে ঘুরে আসুন
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
Last Updated:
Independence Day Weekend Trip: দিঘা-মন্দারমণি যেতে চান না? কলকাতার কাছেই সেরার সেরা চোখ ধাঁধানো অফবিট ৬ সমুদ্র সৈকতের খোঁজ। স্বাধীনতা দিবসের সপ্তাহান্তে লম্বা ছুটি, ঘুরে আসুন...
advertisement
1/7

*বাঙালি বেড়াতে যেতে যে কোনও সময়ই রাজি। কর্মব্যস্ত জীবন থেকে দিন কয়েকের বিরতি নিয়ে এখন ছুটি যান অনেকেই। বঙ্গবাসীর একাংশের যেমন পছন্দ পাহাড় তেমনই অন্য অংশটি সমুদ্র সৈকতে ছুটে যায় বারে বারে। তবে ইদানিং অনেকেই ভিড় এড়িয়ে একটু নিরিবিলি জায়গা খোঁজেন। ফলে মোটেই দিঘা আর মন্দারমণি যেতে চান না। আজ জেনে নিন কলকাতার কাছাকাছি ৬ চিত্তাকর্ষক সমুদ্র সৈকত, যেগুলি আপনাকে মুগ্ধ করবে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
2/7
*জুনপুট: জুনপুট বহু বছর ধরে মানুষের পছন্দের তালিকায় থাকলেও এখনও তেমন আনাগোনা নেই মানুষের। ফলে কোলাহমুক্ত পরিবেশে সমুদ্র পাড়ের আনন্দ নিতে চাইলে যেতে পারেন জুনপুট। নিরিবিলি এই নির্জন সমুদ্রতট আপনাকে দারুণ এক রিফ্রেশমেন্ট দেবে। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের খুব কাছেই জুনপুট। কলকাতা থেকে জুনপুটের দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটারের মতো। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে জুনপুট কম-বেশি ১০ কিলোমিটার। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
3/7
*দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর: নিরিবিলিতে দু-দিন কাটাতে পূর্ব মেদিনীপুরের এই সমুদ্র সৈকতটির জুড়ি মেলা ভার। এখনও অনেক পর্যটকের কাছে এই স্পটটি অজানা। তাই এখানে খুব বেশি হোটেল এখনও গড়ে ওঠেনি। তবে বেশ কয়েকটি ছোট হোটেল এবং ব্যাকপ্যাকার্সের টেন্ট ক্যাম্পের ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যাকপ্যাকার্স টেন্ট ক্যাম্পে খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত ভাল। দুপুরেও ভুরিভোজের পরে সন্ধেয় ক্যাম্পে থাকে বনফায়ারের ব্যবস্থা। ব্যাকপ্যাকার্স ক্যাম্পে চারবেলা থাকা-খাওয়া সমেত খরচ মাথাপিছু ১৫০০ টাকা মতো। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
4/7
*মৌসুনী দ্বীপ: কলকাতা থেকে এই দ্বীপটির দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। একেবারেই নিরিবিলি এই সৈকতে চাইলে নিজের গাড়িতেও যেতে পারেন। ট্রেনে যেতে হলে নামখানা পৌঁছতে হবে। সেখান থেকে যেতে হবে টোটোয়। তারপর নৌকা করে পৌঁছন যাবে মৌসুনী দ্বীপ। এখানে একাধিক পকেট ফ্রেন্ডলি ক্যাম্প রয়েছে। ক্যাম্পগুলিতে চারবেলা থাকা-খাওয়া সমেত খরচ মাথাপিছু ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
5/7
*বগুড়ান জলপাই: এখানে জোয়ারের সময় তড়তড়িয়ে জল এগিয়ে আসে, তবে ভাঁটার সময় জল অনেকটাই নেমে যায়। সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ কিন্তু হারাবেন না। এই সমুদ্রতটের মায়াবী রূপ চোখে পড়ে বেলা পড়লে। কলকাতা থেকে মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন এখানে। কাঁথি থেকে খুব কাছে। এখানকার সমুদ্রতটও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আর লাল কাঁকাড়ায় ভর্তি। বগুড়ান জলপাই সমুদ্র সৈকতটি খুব বিস্তৃত নয়। এটা একটা বড় খাঁড়ির মতো। সেই খাঁড়িই ঢুকে গিয়েছে গভীর সমুদ্রে। সমুদ্রতটে দাঁড়িয়েই দেখতে পাবেন ডিঙি নৌকার সারি, এ ছাড়াও দেখা মিলবে মাছ ধরার ট্রলারের। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
6/7
*লক্ষ্মীপুর: কলকাতার কাছের এই কোলাহলহীন সমুদ্রতট। এখানে এক বার গেলে মনে হবে বারে বারে ফিরে যাই। বকখালির কাছেই লক্ষ্মীপুর সমুদ্র সৈকত। কলকাতা থেকে দূরত্ব মেরেকেটে ১৩৬ কিলোমিটার। বঙ্গোপসাগরের নিরিবিলি এই তটের অপূর্ব শোভা মন ছুঁয়ে যাবে। সাগরতট লাগোয়া ছোট্ট গ্রামের অসাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশ মন কাড়বেই। বকখালি সি বিচ থেকে পায়ে হেঁটে মিনিট ২০ গেলেই পড়বে এই লক্ষ্মীপুর সমুগ্র সৈকত। অনেকে এই সি বিচকে 'মিনি গোয়া' বলেন। সৈকতের গা ঘেঁষে থাকা বড় বড় উইন্ড মিল নজর কাড়বে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
7/7
*বাঁকিপুট: বিস্তৃত সাগরতটের গা ঘেঁষে সারি সারি ঝাউগাছ। মূলত সমুদ্রের টানেই এতল্লাটে যান পর্যটকরা। ঝাউবনে দিনভর পাখির কলকাকলি গোটা পরিবেশেই একটা দারুণ মাদকতা এনে দেয়। ঘণ্টার পর কাটিয়ে দিতে পারেন এই ঝাউবনে। উপরি পাওনা সাগরতট জুড়ে থাকা লাল কাঁকড়ার সারি। বঙ্গোপসাগরের তীরে নিরিবিলিতে উইকেন্ড কাটানোর সেরার সেরা ঠিকানা এই বাঁকিপুট। বাঁকিপুটের গা ঘেঁষেই রয়েছে ইংরেজ আমলে তৈরি বাতিঘর। মন চাইলে সমুদ্রপাড় দিয়ে হাঁটা লাগিয়ে পৌঁছে যান দরিয়াপুরের বাতিঘরে। বাতিঘরের মাথায় উঠে গোটা বাঁকিপুটের সৌন্দর্য্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগের সুযোগ মিলবে। এখানেই রয়েছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুণ্ডলার মন্দির। সংগৃহীত ছবি।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Weekend Trip: দিঘা-মন্দারমণি ছাড়ুন! কলকাতার কাছেই ৬ রোম্যান্টিক সি-বিচ চিনুন, ১৫ অগাস্টের লম্বা ছুটিতে ঘুরে আসুন