একই সর্ষে ইলিশ বা লঙ্কাপোড়া ঝোল বাদ দিন, গরম ভাতে খান ইলিশের ননীবাহার! স্বাদ ভোলা দায়, রইল রেসিপি

বাজারে ছেয়ে গিয়েছে রূপোলি শস্য, অর্থাৎ ইলিশ মাছ। বাঙালির প্রিয় ইলিশ প্রতি বছর বর্ষার সময় পাওয়া যায় বেশি। ভোজনরসিক বাঙালির মরশুমের একটি ভাল ইলিশ পাতে চাই-ই চাই।

ভাজা হোক বা সর্ষের ঝোল কিংবা পাতুরি। ইলিশের চেনা অচেনা অনেক রান্নাই জনপ্রিয়।

সর্ষে, কালোজিরে কাঁচালঙ্কা দিয়ে চিরাচরিত ঝোলের পাশাপাশি বর্তমানে বিভিন্ন ফিউশন রান্নাও হচ্ছে ইলিশ দিয়ে, যা জায়গা করে নিচ্ছে নানান রেস্তোরাঁর মেনুকার্ডেও।

ইলিশপ্রেমী বাঙালি এই মাছের সব ধরণের পদই পছন্দ করে। ইলিশের স্বাদ এবং গন্ধ অটুট রেখে রাঁধলেই তার আসল জাদু খোলে।

তবে এবারে আর ঝোল বা ভাপা-পাতুরি নয়। থাকছে ইলিশের একেবারে অজানা একটি রেসিপি, তবে সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে। রইল ইলিশের ননীবাহারের রেসিপি।

ইলিশের ননীবাহার রান্নার উপকরণ-- ইলিশ মাছ: ৮ টি রিং পিস, মাখন- ২০ গ্রাম, দুধ: ২০০ মিলিলিটার, ফ্রেশ ক্রিম: আধ কাপ, গোলমরিচ গুঁড়ো: ২ চা চামচ, চেরা কাঁচালঙ্কা: ৫-৬ টি, নুন: স্বাদ মতো।

ইলিশের ননীবাহার এর প্রণালী: ইলিশ মাছের পিস গুলি প্রথমে ভাল করে ধুয়ে নুন আর গোলমরিচ গুঁড়ো মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর ননস্টিক কড়াইতে মাখন গরম করে তাতে দিতে হবে কাঁচালঙ্কা ফোঁড়ন।

তার মধ্যে মাছের টুকরোগুলি দিয়ে হালকা করে দু পিঠ ভেজে নিতে হবে। পাঁচ মিনিট রেখে কড়াইতে দিতে হবে দুধ। তার মধ্যে একে একে দিতে হবে ফ্রেশ ক্রিম, স্বাদমতো নুন এবং গোলমরিচ গুঁড়ো।

এবার ঢাকা দিয়ে আঁচ বাড়িয়ে কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে মাছগুলি। মিনিট পাঁচেক পরে ঢাকনা খুলে গরম গরম পরিবেশন করুন ইলিশের ননীবাহার। এই রান্নায় তেলের ব্যবহার হয় না।