শরীরে কোলেস্টেরল বাসা বাঁধছে না তো? কী করে বুঝবেন? আজই চিনে নিন 'এই' লক্ষণগুলি!

খারাপ জীবনযাপন এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে বেশিরভাগ মানুষই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ কারণে অল্প বয়সেই হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। হৃদরোগের প্রধান কারণ হল শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া।

শরীরে দুই ধরনের কোলেস্টেরল থাকে, একটি ভাল কোলেস্টেরল এবং অন্যটি খারাপ কোলেস্টেরল। বৈজ্ঞানিক তথ‍্য অনুসারে, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করে, তখন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট সম্পর্কিত রোগ বৃদ্ধি পায়। কোলেস্টেরল বৃদ্ধি জিনগতও হতে পারে। এরপর এই রোগ বাড়তে থাকে।

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়-১. হাত ও পায়ের অসাড়তা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হাত-পা অসাড় হয়ে যেতে থাকে। ফলে শরীরে কাঁপুনি শুরু হয়।

২. মাথাব্যথা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে তীব্র মাথাব্যথা হয়। শিরায় ঠিকমতো রক্ত​না পৌঁছালে প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয়।

৩. নিঃশ্বাসের ঘাটতিএকটু হাঁটার পরও যদি শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয় তবে তা কোলেস্টেরলের বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে।

৪. অস্বস্তি বোধকোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এ কারণে বুকে ব্যথা, অস্থিরতা, দ্রুত হৃদস্পন্দন খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

৫. ওজন বৃদ্ধিক্রমাগত ওজন বৃদ্ধির ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে শুরু করে। যদি আপনার শরীরে এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই একবার আপনার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করাতে হবে।

কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা কত?ডাক্তারের মতে, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে এর মাত্রা ১০০ mg/dl-এর কম হলে তা স্বাভাবিক মাত্রা। যদি এটি ১৩০mg/dL ছাড়িয়ে যায় তবে এটি আপনার জন্য একটি সতর্কতা। যদি আপনার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ১৬০ mg/dL এর বেশি হয় তবে এটি আপনার জন্য একটি বিপদের সংকেত। এর স্পষ্ট অর্থ হল আপনার শরীরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল বেড়েছে।