Heart Attack In Middle Age: ৪১-এই চলে গেলেন শেফালি জরিওয়ালা! কোন ভয়ঙ্কর কারণে ৩০-৪০ বছর বয়সীদের বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক... সাংঘাতিক কথা জানালেন বিশেষজ্ঞ

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪১-এ মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালার। সম্প্রতি, হৃদরোগের ঘটনাগুলি পুরো দেশকে হতবাক করে দিয়েছে। তরুণ এবং মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই ধরনের হৃদরোগের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিদিন শত শত হৃদরোগে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ এই সব নিয়ে চিন্তিত। মধ্যবয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে হঠাৎ হৃদরোগ কেন বাড়ছে তা নিয়ে তারা বিভ্রান্ত।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা মধ্যবয়সী মানুষের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের হার কেন বাড়ছে তা জানিয়েছেন। আজকের দ্রুতগতির পৃথিবীতে, মানসিক চাপ জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজের সময়সীমা, আর্থিক চাপ, সোশ্যাল মিডিয়া সতর্কতা এবং ব্যস্ত রুটিনের কারণে সৃষ্ট দীর্ঘস্থায়ী চাপ ৩০ বছর বয়সী তরুণদের হৃদরোগের স্বাস্থ্যকে নীরবে প্রভাবিত করতে পারে।

ডাক্তারের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে মানুষ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং হৃদ্‌স্পন্দন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। সাধারণত ৬০-৯০ bpm থাকা হার্টবিট এই সময়ে বেড়ে ২৫০-৩৫০ bpm হয়ে যায়। যদি কয়েক মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা না হয়, তাহলে রোগীর মৃত্যু হয়। ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই রোগী হাসপাতাল পৌঁছানোর আগেই মারা যান।

নয়াদিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের একজন সিনিয়র কার্ডিয়াক সার্জন ডাঃ নিরঞ্জন হিরেমথ হৃদরোগের উপর মানসিক চাপের প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।

মানসিক চাপের কারণে কর্টিসল এবং অ্যাড্রেনালিন হরমোনের দীর্ঘস্থায়ী উচ্চমাত্রা তৈরি হয়, যা হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ এবং রক্তনালীতে প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে এটি হার্ট অ্যাটাকের মতো গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অনিয়মিত ঘুম, খাবার না খাওয়া, স্ক্রিনের সামনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা এবং মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কফি, ধূমপান বা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মতো অস্থায়ী সমাধানগুলি পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।