মেনে চলুন এই ৫ নিয়ম, ঘরোয়া উপায়েই মিটবে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
অনেক সময়েই সময়ের অভাবে বা লাইফস্টাইলের জন্য সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার বা নিয়ম করে খাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা বেড়ে যায়। কিন্তু খুব সাধারণ ঘরোয়া উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারেন--
advertisement
1/6

কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকের জীবনেই একটা বিরাট বড় সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে। যার ফলে পেটে সমস্যা, হজমের সমস্যা, সেখান থেকে একাধিক শারীরিক অসুস্থতা তৈরি হয়। অনেক সময়েই সময়ের অভাবে বা লাইফস্টাইলের জন্য সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার বা নিয়ম করে খাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা বেড়ে যায়। কিন্তু খুব সাধারণ ঘরোয়া উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারেন--
advertisement
2/6
জল পান- বর্তমানে ব্যস্ত সময়ে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা একটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ সময়েই জল পান করতে ভুলে যাওয়া বা সময় না পাওয়া খুবই সাধারণ বিষয়। তবে, তেষ্টা পেলে অনেকেই কোল্ড ড্রিঙ্কস বা এই ধরনের ঠাণ্ডা পানীয় পান করে থাকেন যা শরীরের আরও ক্ষতি করে। তাই জল পানের অভ্যাস করতে হবে। মনে রাখতে হবে, জল শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে ঈষৎ উষ্ণ জল খেলে হজমের সমস্যা দূর হয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে উপশম মিলতে পারে। রোজ সকালে খালি পেটে ঈষৎ উষ্ণ জলে পাতি লেবুর রস ও এক চা চামচ লেবু বা ঈষৎ উষ্ণ জলে অল্প হলুদ দিয়ে খেলেও এই সমস্যা এড়াতে পারেন
advertisement
3/6
হাই ফাইবার-যুক্ত খাবার - ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখে। হজমে সাহায্য করে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করতে পারে। সাধারণত, ফাইবার যুক্ত খাবার না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। ফলে হাই-ফাইবার ডায়েট অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রতি দিন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম ফাইবার খাওয়া জরুরি। পেঁপে, কলা, কমলা লেবু, নাসপাতি, অ্যাভোকাডোর মতো ফল খাওয়া যেতে পারে। এগুলিতে শুধু ফাইবার থাকে তা নয়, থাকে, ভিটামিন ও মিনারেলসও। এ'ছাড়াও, কাজু বাদাম, আমন্ড, অ্যাপ্রিকট, কাঠবাদামের মতো খাবারের পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে। পাশাপাশি সবুজ সবজি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। ব্রকোলি, পালং শাক, স্প্রাউটসেও প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে।
advertisement
4/6
প্রোবায়োটিক খাবার- প্রোবায়োটিক খাবার ইনটেস্টাইনে ভাল ব্যাকটেরিয়ার সঞ্চার করে। যার ফলে ব্যাকটেরিয়ার সামঞ্জস্য বজায় থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দই, কিমছি-র মতো খাবার খাওয়া যেতে পারে।
advertisement
5/6
নিয়মিত ব্যায়াম বা যোগ অভ্যাস- লাইফস্টাইলের জন্য শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। যা থেকে মুক্তি দিতে পারে ব্যায়াম। তেমনই কোষ্ঠকাঠিন্যও ব্যায়াম বা কিছু যোগ অভ্যাসে কমতে পারে। হাঁটা, জগিং, ফ্রি-হ্যান্ড, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটা- এই ব্যায়ামগুলো করলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ভাল থাকা যেতে পারে।
advertisement
6/6
প্রাকৃতিক উপাদান- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমলকি, অ্যালোভেরা জ্যুস, কাঁচা হলুদ, তিল, ফ্ল্যাক্স সিড, ভেজানো চিয়া সিডস বা ত্রিফলার মতো খাবার ডায়েটে রাখুন।