Health Tips: সামলে দেয় অনেক সমস্যা, কোন কোন অসুস্থতায় ORS খাওয়া উচিত
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
Health Tips: এটি এতটাই যে কার্যকারী যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ওআরএস-কে (ORS) প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় উল্লেখ করেছে।
advertisement
1/7

#কলকাতা: আমাদের বিভিন্ন শারীরিক কাজকর্মের জন্য ভিটামিন, মিনারেল এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি প্রয়োজন রয়েছে। শরীরের সুস্থতায় সোডিয়াম, পটাসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো উপাদানগুলির গুরুত্বও অপরিসীম। আমাদের পেশি সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে শরীরে পর্যাপ্ত তরলের মাত্রা বজায় রাখার জন্য, এই খনিজগুলি শরীরে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। কিন্তু ডায়রিয়া, বমি বা অন্য কোন সংক্রমণের কারণে ডিহাইড্রেশন হলে শরীরে এইসব খনিজের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এই অবস্থাকে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা বলে যার প্রাথমিক অবস্থাতে সতর্ক না হলে রোগীর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। Photo- Collected
advertisement
2/7
ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ORS) হল ডিহাইড্রেশনের চিকিৎসার একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিকার। কয়েক দশক ধরে চিকিৎসকেরা শরীরের ভারসাম্যহীনতা নিরাময়ের জন্য ইলেকট্রোলাইট ব্যবহার করতে সুপারিশ করে আসছেন। এটি শরীরে সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজগুলির ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। শুধু তাই নয়, এটি এতটাই যে কার্যকারী যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ওআরএস-কে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় উল্লেখ করেছে। ওআরএস খেলে সোডিয়াম-গ্লুকোজের কার্যক্ষমতা বজায় রাখা থেকে আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট ও জল পায়। তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন শারীরিক প্রয়োজনীয়তাতে ওআরএস খাওয়া উচিত। তবে কেনার সময় ওআরএসের প্যাকেটে WHO-এর অনুমোদন আছে কি না অবশ্যই দেখে নিতে হবে। Photo- Collected
advertisement
3/7
১. ডায়রিয়া বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী এবং প্যাথোজেনের কারণে ডায়রিয়া হতে পারে। এমনকি কখনও কখনও কাঁচা বা ভুলভাবে রান্না করা খাবারও পেট খারাপের কারণ হতে পারে। এই ধরনের শারীরিক অবস্থায় আমাদের শরীরে তরলের ঘাটতি দেখা যায়। তাই শিশু হোক বা প্রাপ্তবয়স্ক, সকলেরই ওরাল রিহাইড্রেশনের মিশ্রণ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। Photo- Collected
advertisement
4/7
২. বমি কোনও খাবারের বিষক্রিয়া, সংক্রমণ, ওষুধের প্রতিক্রিয়ার মতো বিভিন্ন কারণে বমি হতে পারে। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের বমির কারণ বোঝা গেলেও, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রায়ই তা ব্যাখ্যা করা যায় না এবং বাচ্চাদের বমির সঙ্গে পেটে ব্যথাও হয়। সাধারণত বমি ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমে যায়; কিন্তু যদি তা না হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে মুখ শুকিয়ে যাওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা গেলেই ওআরএস খাওয়া শুরু করতে হবে। প্রতি তিন থেকে চার ঘন্টা বা যত ঘন ঘন প্রয়োজন হয় সেই ভাবে ছোট এবং ঘন ঘন ডোজে ওআরএস খেয়ে যেতে হবে। Photo- Collected
advertisement
5/7
৩. জ্বর যখন শরীর কোনও ব্যাকটেরিয়া বা সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে, তখন প্রায়ই জ্বর হওয়ার প্রবণতা থাকে। যদিও ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যাগুলি অ্যান্টিবায়োটিক খেলে নিরাময় হয়। তবে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে আমাদের ডিহাইড্রেশনের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল, ফলের রস খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে বড়দের তো বটেই, বিশেষ করে শিশুদের ওআরএস খাওয়া খুবই জরুরি। Photo- Collected
advertisement
6/7
৪. বেশি তাপে থাকা আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপন্ন হয়। যার ফলস্বরূপ ঘর্মগ্রন্থিতে ঘাম জমা হয়ে আমরা ঘামতে থাকি। পাশাপাশি অতিরিক্ত গরম, আর্দ্রতা বাড়লে অথবা বেশি পরিশ্রমের কাজ করলে এই সামগ্রিক প্রক্রিয়াটিতে বিঘ্ন ঘটে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা এতটাই বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে যায় যে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তাই এই ধরনের অঘটন এড়াতে আমাদের ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপি করা উচিত। যার ফলে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজের চাহিদা মিটবে এবং পর্যাপ্ত তরল সরবরাহ হবে৷ Photo- Collected
advertisement
7/7
৫. বমি বমি ভাব বমি করার আগে আমাদের এক অত্যন্ত অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়েও এটি একটি সাধারণ লক্ষণ। একটি রিপোর্ট অনুসারে, ৮০% মহিলা গর্ভবতী হওয়ার পরে বমি বমি ভাব অনুভব করেন। সাধারণত গর্ভাবস্থার ৫ থেকে ১০ সপ্তাহ পরে এই লক্ষণ শুরু হয়। এক্ষেত্রে শরীর হয় তো তরল হারায় না, কিন্তু খাবার এবং তরল শরীরে ন্যূনতম পর্যায়ে চলে আসে, যার ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ওআরএস শরীরের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে গর্ভবতী মা এবং সন্তান উভয়েই সুস্থ থাকে। Photo- Collected