Health Tips: ব্রণ নিয়ে নাজেহাল? আপনার বালিশের ওয়ার বদলাতে হবে, জানুন
- Published by:Raima Chakraborty
Last Updated:
জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে। মেনে চলতে হবে কয়েকটা জিনিস। (Health Tips)
advertisement
1/8

মুখ দাগে ভরে গেলে কার ভালো লাগে! চেহারা আকর্ষণ হারায়, আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকে। সাজগোজ করতেও ভালো লাগে না। আবার কোনও ভাবে ব্রণ কমলেও তার দাগ রয়ে যায়। কখনও এবড়োখেবড়ো গর্ত, কখনও কালো দাগ। এই ব্রন গোড়া থেকে নির্মূল করার কি কোনও উপায় নেই? অবশ্যই আছে। তার জন্য জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে। মেনে চলতে হবে কয়েকটা জিনিস। (Health Tips)
advertisement
2/8
স্বাস্থ্যকর খাদ্য: ব্রণকে সমূলে নিরাময় করতে চাইলে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া করতেই হবে। ডায়েটে রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যুক্ত খাবার। পাতে চাই গাজর, এপ্রিকট, মিষ্টি আলু, আম, সবুজ শাক, মাছ। পেঁয়াজ এবং রসুনও ব্রন কমাতে সাহায্য করে। এগুলো সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ, প্রদাহ কমাতে সহায়ক। এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। এটাই শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিয়ে হাইড্রেটেড রাখবে। গ্রিন টি-ও সিস্টেম থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
advertisement
3/8
ব্রণর ধরন বুঝতে হবে: বন্ধু, আত্মীয়স্বজনের দেওয়া ওষুধে ব্রণ সারবে না। কারণ একজনের পিম্পলের যে চিকিৎসার প্রয়োজন সেটা ওষুধে কাজ নাও হতে পারে। ব্রনর ধরন সনাক্ত করতে এবং কীভাবে ব্রণ নিরাময় সম্ভব তা জানতে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ব্ল্যাকহেডস, পিনহেডস, হোয়াইটহেডস, প্যাপিউলস, সিস্টিক ব্রণ এবং পাস্টুলস হল কিছু সাধারণ ব্রণর প্রকার। জীবনধারা, জেনেটিক্স এবং ত্বকের প্রকারের উপর নির্ভর করে কোনও ব্যক্তি এগুলির যে কোনও একটার দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। প্রতিটি প্রকারের জন্য নিরাময় ভিন্ন। মনে রাখতে হবে পিম্পলের সঠিক চিকিৎসা না করালে তা আরও বাড়তে পারে।
advertisement
4/8
সানস্ক্রিন: রোদে শুধু ট্যানিং হয় তাই নয়, এটা ব্রনর সমস্যার অন্যতম কারণও হতে পারে। তাই রোদে বেরনোর অন্তত ২০ মিনিট আগে ১৫ এসপিএফ-সহ একটি সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। ত্বকের প্রকারের উপর নির্ভর করে, রোদে পোড়া, ফুসকুড়ি, জ্বালা, প্রদাহ এবং অবশ্যই ব্রন হতে পারে। তৈলাক্ত ত্বক হলে তেল-মুক্ত সানস্ক্রিন বাছাই করতে হবে। ত্বক শুষ্ক হলে, জোজোবা তেল, পাইকনোজেনল (আঙ্গুরের বীজের নির্যাস), স্যাক্সিফ্রেজ বা শসার নির্যাস দেওয়া সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
advertisement
5/8
বালিশের ওয়ার বদলাতে হবে: এক্ষেত্রে বালিশের ওয়ার সবচেয়ে বড় শত্রু হতে পারে। এতে প্রতিদিন মুখ এবং চুলের ঘাম, তেল লাগে। যার ফলে একসময় ‘একনে মেকানিকা’ সৃষ্টি হয়। এটা এমন একটা অবস্থা যেখানে মুখ স্পর্শ করা বস্তু বা উপাদানের কারণে ব্রণর প্রাদুর্ভাব ঘটে।
advertisement
6/8
মেকআপ তুলতে হবে: রাতে বাড়ি ফিরেই বিছানায় এলিয়ে যায় শরীর। সারাদিনের ক্লান্তিতে অনেকেরই আর মেকআপ তোলার মতো ধৈর্য থাকে না। এটা ক্ষতিকর। মেকআপের রাসয়নিক ত্বকের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে, যার ফলে দাগ এবং ব্রন হয়।তাই যত কষ্টই হোক উপযুক্ত ক্লিনজার দিয়ে পুরো মেকআপ তুলতেই হবে।
advertisement
7/8
ব্রণ খোঁটা নৈব নৈব চ: ব্রণ খোঁটার জন্য অনেকেরই নিশপিশ করে। এতে ভালো তো কিছু হয় না উল্টে ক্ষতি করে। ব্রণ খুঁটে তুলে ফেললে সেই জায়গার ত্বক ছিঁড়ে যায়। সঙ্গে সেই জায়গা থেকে ব্যাকটেরিয়া ত্বকের অন্য ছিদ্রে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আরও বেশি ব্রন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
advertisement
8/8
ঘরোয়া টোটকা: কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান সহজেই ব্রণ নিরাময় করতে পারে। অ্যালোভেরা, মধু, রসুন, শসা, বা চা-গাছের তেল লাগানো যায়। ১/৩ টেবিল চামচ জল এবং ১ ভাগ অ্যাসপিরিন দিয়ে তৈরি পেস্ট লাগালেও ভালো ফল মেলে। জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন করলেই ত্বক পরিষ্কার থাকবে। নিয়মিত ব্যায়াম, চর্বিযুক্ত খাবার কমানো এবং আলতো হাতে মুখ ধোয়া শুরু করলেই ব্রণ মুক্ত উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হওয়া যাবে।