Health Tips: কাশতে কাশতে মনে হচ্ছে মরে যাবেন? এই 'শুঁঠ' খেলে কাশি কমবেই! জানুন ডাক্তারের মত

ইতিমধ্যে সন্ধে নামতেই শীতের আমেজ অনুভূত হতে শুরু করেছে। শীতের শুরুতেই গলা খুসখুস, ঢোক গিলতে সমস্যা, কথা বলতে গেলেই গলায় অস্বস্তি দেখা দিচ্ছে ঘরে ঘরে।

অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অসীম শর্মা জানান, ঘন ঘন ওষুধ ব্যবহার করেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না। শীতে সর্দি-কাশির প্রকোপ ঠেকাতে ভরসা রাখতে পারেন আদা শুঁঠের উপর।

আদা রোদে শুকিয়ে, গুঁড়ো করে নিলে সহজেই তৈরি করা যায় এই আদা শুঁঠ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ তৈরি করতে এই আদা শুঁঠের ব্যবহার রয়েছে অনেকটাই।

রাতে ঘুমনোর আগে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে, সকালে খালিপেটে হালকা গরম জলে লেবুর রস ও মধুর সঙ্গে মিশিয়ে। এছাড়া চায়ের সঙ্গে মিশিয়েও পান করা যেতে পারে আদা শুঁঠ।

ঠান্ডায় গা গরম রাখতে পারে এই আদা শুঁঠ। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শরীরের ট্রিপসিন এবং লাইপেজ নামক দুটি উৎসেচকের ক্ষরণ অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।

খুব বেশি ঠান্ডায় মাইগ্রেনের যন্ত্রণা নিরাময়েও দারুণ কাজ আসে আদা শুঁঠ। এছাড়া বয়স্ক মানুষদের হাত-পায়ে যন্ত্রণা দূর করতে রোজ নিয়ম করে আদা শুঁঠ অনেকটাই উপকারী।

শীতের মরসুমে জ্বর, সর্দি-কাশি লেগেই থাকে ঘরে ঘরে। এই মরসুমের ছোঁয়াচে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে গুড় দিয়ে আদা শুঁঠ নিয়মিত খাওয়া অনেকটাই উপকারী বলে প্রমাণিত।

বেশি ঠান্ডায় বদহজমের সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। কিছু খেলেই গলা-বুক জ্বালা করতে শুরু করে অনেকের। এই সমস্যার সমাধানে আদা শুঁঠ অনেকটাই কার্যকর বলে প্রমাণিত।

মেদ ঝরাতে রোজ সকালে হালকা গরম জলে লেবুর রস, মধু মিশিয়ে পান করেন অনেকেই। যদি এর সঙ্গে যদি একটু শুঁঠ মিশিয়ে নেওয়া যায়। তবে আরও দ্রুত ওজন ঝরবে।