Remove Ear Wax Naturally: কানে সরষের তেল দেন!..ইয়ার বাড দিয়ে খোঁচান? জানেন নিজের জন্য কোন বিপদ ডেকে আনছেন! জানুন কান পরিষ্কারের নিরাপদ উপায়

কান আমাদের শরীরের অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে একটি কিন্তু, তা সত্ত্বেও আমরা কান নিয়ে খুব একটা সতর্কতা কখনওই অবলম্বন করি না৷ একটু চুলকানি বা অস্বস্তি হলেই দেশলাই কাঠি, কী বড়জোর কটন বা় দিয়ে কানে সুরসুরি দিই বা ময়লা বের করার ব্যর্থ চেষ্টা করে থাকি৷ বলা বাহুল্য, এই দু’টি পদ্ধতিই একেবারে অবৈজ্ঞানিক এবং ক্ষতিকারক৷

যদিও কানের খোল বা ইয়ার ওয়াক্স পরিষ্কার করার জন্য বাজারে বহু ওষুধ পাওয়া যায় এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তা ব্যবহারই করা যায়, তা সত্ত্বেও নিয়মিত নিজের কানের চিকিৎসা করানোর জন্য ঘরোয়া এবং প্রথাগত কিছু প্রতিকারও জেনে রাখা অবশ্য প্রয়োজন৷ আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি কী কী৷

স্টেফনি এস, গার্ডনার, এমডি জানাচ্ছেন, ইয়ার ওয়াক্স, বা চলতি ভাষায় কানের খোল-এর চিকিৎসার পরিভাষায় নাম সেরুমেন৷ এটি আসলে কানের একটি ক্ষরণ হওয়া একটি পদার্থ, ময়লা, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য বর্জ্র পদার্থের সমষ্ঠি৷ যা দীর্ঘদিন ধরে কানে জমতে থাকা সংক্রমণ বা অন্যান্য গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে৷ এমনকি, গুরুতর ক্ষেত্রে, মানুষের শ্রবণশক্তি পর্যন্ত চলে যেতে পারে৷

তাই শিশুদের তো বটেই, পূর্ণবয়স্কদেরও নির্দিষ্ট সময় অন্তত কানের ময়লা অবশ্যই পরিষ্কার করার অভ্যাস রাখা উচিত৷ এবার জানুন, ঘরোয়া পদ্ধতিতে কী ভাবে কান পরিষ্কার করা সম্ভব? কী বলছেন বিশেজ্ঞেরা৷

কানের ময়লা জমা খুবই সাধারণ ব্যাপার। কানে ক্ষরিত হওয়া পদার্থ আসলে বাইরে ধূলিকণা, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদিকে কানের পর্দা পর্যন্ত পৌঁছতে বাধা দেয়৷ কিন্তু, এই ইয়ার ওয়াক্স বেশি পরিমাণে জমে থাকলে তা শ্রবণশক্তি হারানোর মতো সমস্যাও তৈরি করতে পারে।

বেবি অয়েল: কানে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে বেবি অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। শিশুদের তেলে রাসায়নিক থাকে না। কান পরিষ্কার করতে, আপনার কানে কয়েক ফোঁটা বেবি অয়েল দিন এবং তুলো দিয়ে ঢেকে দিন। কয়েক ঘণ্টা পরে, তুলো সরিয়ে তারপর একটি নরম সুতির কাপড়ের সাহায্যে কান ধীরে ধীরে পরিষ্কার করুন। বেবি ওয়েল ব্যবহার করলে কানের ময়লা নরম হয়ে নিজে থেকেই বেরিয়ে আসে।

অলিভ অয়েল: বেবি অয়েলের মতো অলিভ অয়েল দিয়েও কানের ময়লা পরিষ্কার করতে পারেন। এ জন্য রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কানে দুই থেকে তিন ফোঁটা অলিভ অয়েল দিন। পরের দিন স্নান করার আগে নরম সুতির কাপড় দিয়ে কানের ভিতরটা পরিষ্কার করে নিন? এভাবে ৩-৪ দিন করলে কান সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

বেকিং সোডা: কান পরিষ্কার করতেও বেকিং সোডা ব্যবহার করা যেতে পারে। এজন্য আধা গ্লাস জলে এক চিমটে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। এবার ড্রপারের সাহায্যে কানে দিয়ে, রেখে দিন ১৫ মিনিট। তারপর মাথাটা একপাশে কাত করে রেখে সেই জল বের হতে দিন। এবার একটি সুতির কাপড় নিন এবং কানের ময়লা এবং জল উভয়ই পরিষ্কার করুন।

গ্লিসারিন: গ্লিসারিন ব্যবহার কানের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য খুবই ভাল। এটি তেলের মতোও কাজ করে। এটি ব্যবহার করতে হলে, একটি ড্রপারে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারানি নিয়ে কানে দিন। ২-৩ দিন এই কাজ করলে কানের ময়লা সহজেই নরম হয়ে যায় এবং নিজে থেকে বেরিয়ে আসে।

সরিষার তেল: সরিষার তেলও কান পরিষ্কারের জন্য খুবই সহায়ক বলে মনে করা হয়। সরিষা, বাদাম বা নারকেল তেল সামান্য গরম করে কানে এক ফোঁটা, দু’ফোঁটা ঢেলে খানিকক্ষণ রেখে দিন। খেয়াল রাখবেন, তেল যাতে খুব গরম না হয়৷ এই তেলগুলি কানের খোল নরম হতে সাহায্য করে৷

Disclaimer: এই প্রতিবেদেনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ বাংলা নিশ্চিত করে না৷ নতুন কিছু প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷