সাবধান! থ্যালাসেমিয়া অবহেলা করছেন না তো? জীবনে নেমে আসতে পারে আরও বড় 'বিপদ'! জেনে নিন কী বলেছেন বিশেষজ্ঞ
- Published by:Sanjukta Sarkar
- local18
Last Updated:
Thalassemia Health Risk : সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না করলে বা সতর্ক না হলে মৃত্যুর আশঙ্কাও তৈরি হতে পারে। ছোট শিশুদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
advertisement
1/7

থ্যালাসেমিয়া এমন একটি বংশগত রোগ যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন। সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না করলে বা সতর্ক না হলে মৃত্যুর আশঙ্কাও তৈরি হতে পারে। ছোট শিশুদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
advertisement
2/7
উত্তরপ্রদেশের কনৌজের চিকিৎসক সিদ্ধার্থ জানান, থ্যালাসেমিয়া একটি রক্তের রোগ। এটি দুই প্রকারের হতে পারে। যদি জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা-মা উভয়ের জিনে থ্যালাসেমিয়া ‘মাইনর’ থাকে, তাহলে শিশুটির থ্যালাসেমিয়া ‘মেজর’ থাকতে পারে। এটি বেশ মারাত্মক হতে পারে। আবার বাবা বা মায়ের, যে কোনও একজনের থ্যালাসেমিয়া থাকলেও শিশুর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
advertisement
3/7
বিয়ের আগে নারী ও পুরুষ উভয়েরই উচিত নিজেদের রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি এমন কোনও লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে একেবারেই গাফিলতি করা উচিত হবে না। একজন ভাল চিকিৎসকের পরামর্শে সম্পূর্ণ চিকিৎসা করালেই এই রোগ নির্মূল করা সম্ভব।
advertisement
4/7
রোগের লক্ষণ থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। থ্যালাসেমিয়ার প্রধান উপসর্গ হতে পারে ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা, শারীরিক দুর্বলতা, মন খারাপ, বয়স অনুযায়ী শারীরিক বিকাশ না হওয়া, শরীরে হলুদ ভাব, দাঁত বের হয়ে আসা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি।
advertisement
5/7
থ্যালাসেমিয়া এমন একটি রোগ যা শিশুদের জন্ম থেকেই হয়। তিন মাস বয়স হলেই তা সনাক্ত করা যায়। এই রোগে শিশুর শরীরে সঠিক ভাবে রক্ত তৈরি হয় না যার কারণে তার শরীরে রক্তের অভাব দেখা দেয়। এই কারণে রোগীকে বারবার রক্ত দিতে হয়। রক্তের অভাবে হিমোগ্লোবিন তৈরি হতে পারে না।
advertisement
6/7
আবার বারবার রক্ত দেওয়ার ফলে রোগীর শরীরে অতিরিক্ত আয়রন উপাদান জমতে শুরু করে, যা হৃদযন্ত্রে গিয়ে প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়াতে পারে।
advertisement
7/7
প্রতিরোধ— নিজের যত্ন নেওয়া দরকার। এই রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বিয়ের আগে নারী ও পুরুষের রক্ত পরীক্ষা করানো উচিত। গর্ভাবস্থায় রোগীর হিমোগ্লোবিন ১১-১২ বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
সাবধান! থ্যালাসেমিয়া অবহেলা করছেন না তো? জীবনে নেমে আসতে পারে আরও বড় 'বিপদ'! জেনে নিন কী বলেছেন বিশেষজ্ঞ