Peanut Side Effects: যখন তখন মুঠো মুঠো বাদাম.. এই সমস্ত রোগীদের জন্য কিন্তু ‘বিষ’! নিয়ন্ত্রণ না করলে বিপদ আটকাতে পারবেন না

আজকাল আমাদের যা জীবনযাত্রার ধরন, তাতে শুধু বেশি বয়সিরাই নয়, কম বয়সিরাও হার্ট বা অন্যান্য গুরুতর অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ এমন ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র ওষুধ নয় প্রতিদিনের খাবার দাবারেও নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হয়৷ অনেক জিনিস খাওয়া বারণ থাকে, অনেক কিছু খাওয়ার বিষয়ে রাশ টানতে হয়৷

আমাদের অনেকেরই চিনা বাদাম খাওয়া ভীষণই পছন্দের৷ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ভেজানো চিনা বাদাম খাওয়া থেকে শুরু করে সন্ধেবেলা চা-মুড়ির সঙ্গে বাদাম, কার না পছন্দের৷ কিন্তু, প্রশ্ন, যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাঁদের কি চিনা বাদাম খাওয়া উচিত?

এই প্রশ্নটা প্রযোজ্য সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রেও৷ অনেকেরই ধারণা চিনা বাদাম খেলে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়ে৷ সেক্ষেত্রে, সুগারের রোগীদের কি আদৌ বাদাম খাওয়া উচিত? খেলেও কতটা?

মেদান্ত হাসপাতালের প্রাক্তন ডায়েটিশিয়ান কামিনী সিনহার মতে, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিস রোগীরা অল্প পরিমাণে চিনা বাদাম খেতে পারেন। তবে বেশি পরিমাণে চিনাবাদাম খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

বাদাম এমনিতে খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার৷ কিন্তু, কোলেস্টেরল এবং সুগার রোগীরা চিনাবাদাম খেলে, তা খাওয়ার পরে, আপনাকে অবশ্যই কায়িক পরিশ্রম করতে হয়, যাতে রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি না থাকে।

চিনাবাদাম স্প্রাউট, ভেলপুরি বা অন্যান্য জিনিসের সাথে মিশিয়ে খেতে পারলে ভাল হয়। এতে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে না। যদি আপনার রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরল বিপজ্জনক মাত্রায় বেশি থাকে, তাহলে চিনাবাদাম খাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই একজন ডায়েটিশিয়ান বা ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। এমন অবস্থায় খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ভুল করা মারাত্মক হতে পারে।

কামিনী সিনহার মতে, কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিস রোগীদের শীতের মরসুমে অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম করা উচিত। এতে তাঁদের উভয় সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ধরনের রোগীদের খাদ্যতালিকায় প্রচুর মরসুমি ফল ও সবুজ শাক-সবজি থাকা উচিত।

মেথি, পালং শাক, বেথুয়া শাক শীতের মরসুমে স্বাস্থ্যের জন্য এক একটি ওষুধ। এছাড়া শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে স্যুপও খেতে পারেন। শীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত, যাতে স্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়। চেষ্টা করুন কোলেস্টেরল ও সুগারের রোগীরা জাঙ্ক ফুড ও বাইরের খাবার যাতে না খাওয়া হয়। ঘরে তৈরি তাজা খাবার খেলে সমস্যা নেই৷ তবে অবশ্যই পরিমাণ মেনে৷

disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ নিশ্চিত করে না৷ প্রতিটা মানুষের শরীর আলাদা৷ যে কোনও নতুন ডায়েট শুরুর আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷