Head Phones: হেডফোন, ইয়ারবাডস ধীরে ধীরে ক্ষতি করছে শ্রবণশক্তির! বাঁচবেন কী ভাবে?
- Published by:Raima Chakraborty
Last Updated:
১২ থেকে ৩৫ বছরের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ দিনের বেশিরভাগ সময় অত্যধিক জোরে গান শোনার কারণে শোনার ক্ষমতা হারাতে পারেন।
advertisement
1/6

সারা দিনের ব্যস্ত জীবন, করোনা সংক্রমণের খবরের ক্লান্তি থেকে নিজেকে দূরে রাখার জন্য, মন ভালো করতে অনেকেই আছেন যাঁরা গান শোনাকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তবে সাবধান! শিয়রে সঙ্কট। ভবিষ্যতে হারিয়ে যেতে পারে শ্রবণশক্তি! সম্প্রতি, এক গবেষণা কিন্তু তাই বলছে। উচ্চস্তরের শব্দ, ভবিষ্যতের জন্য নিয়ে আসছে খারাপ সঙ্কেত। বিশেষ করে শিশু-কিশোর এবং যুবসমাজ এই ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। কারণ, কানে হেডফোন (Headphone) দিয়ে গান শোনার প্রবণতা এদের মধ্যেই বেশি থাকে। প্রতি দিনের শব্দ সীমা নির্দিষ্ট করা রয়েছে ৭০ ডেসিবেলের মধ্যে। কিন্তু হেডফোন ব্যবহারের প্রবণতা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শব্দ সীমার নির্দিষ্ট ডেসিবেলকে অতিক্রম করতে পারে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (The National Institutes of Health) এমনটাই দাবি করেছে। এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO) একই মত প্রকাশ করেছে। হু দাবি করেছে ১২ থেকে ৩৫ বছরের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ দিনের বেশিরভাগ সময় অত্যধিক জোরে গান শোনার কারণে শোনার ক্ষমতা হারাতে পারেন। কোয়েট কোয়ালিশনের (Quiet Coalition) বোর্ড চেয়ারম্যান ড. ড্যানিয়েল ফিঙ্ক (Dr. Daniel Fink) জানিয়েছেন, ‘সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন, যে শ্রবণশক্তি হ্রাস হওয়াটা স্বাস্থ্যকর জীবনের অঙ্গ নয়। তবুও তাঁরা এই বিষয়ে বিশেষ চিন্তিত নন’। তিনি ভুল বোঝা ও ভুল ধারণার মধ্যে পার্থক্য বিচার করে বলেন, ত্বক ঝলসে যাওয়া বা কুঁচকে যাওয়া যেটা বয়স বাড়ার অংশ মনে করা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির জন্য (UV-RAY)। সেই রকমই উচ্চস্তরের শব্দ শোনা এড়িয়ে যেতে পারলে বেশি বয়সেও শ্রবণশক্তি একই থাকতে পারে বলে দাবি করেন ড. ফিঙ্ক।
advertisement
2/6
শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে আর কী হতে পারে? ড. ফিঙ্ক এবং অডিওলজিস্ট জ্যান মেয়েস (Jan Mayes), একাধিক রিপোর্ট পড়ার পাশাপাশি গবেষণা করে দেখেছেন শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যক্তিগত সাউন্ড সিস্টেমগুলি। যেগুলিতে সাধারণত হেডফোন ও ইয়ারবার্ডের (Earbuds) সাহায্যে সাধারণ মানুষ গান শুনতে অভ্যস্ত। বিশেষত যুবসমাজের অডিও সিস্টেম ব্যবহারের একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এর ফলে তাঁরা যখন ৪০ বছর বয়সে পৌঁছবেন সেই সময় বর্তমানের ৭০ ও ৮০ বছরের প্রবীণরা যে হারে শুনতে পান তাঁদের অবস্থা একই জায়গায় এসে দাঁড়াবে বলে দাবি করেছেন ড. ফিঙ্ক ও জ্যান মেয়েস। ২০১১ সালের গবেষণা অনুসারে, শ্রবণশক্তিহীন মানুষের তুলনায় যাঁদের শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া শুরু করেছে তাঁদের মধ্যে স্মৃতিশক্তি হারানোর একটা প্রবণতা দেখা গিয়েছে। কম শুনতে পাওয়ার প্রবণতা যাঁদের হালকা থাকে তাঁদের ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া ক্ষমতা দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একই ভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্তদের ঝুঁকি পাঁচগুণ বেড়ে যায়। অডিওলজিস্ট মেরি এল কারসন এইউ.ডি (Mary L. Carson) এই কথা বলেছেন।
advertisement
3/6
কী ভাবে স্বাস্থ্যকর শব্দমাত্রা সেট করবেন? ৭০ ডেসিবেলের মধ্যে শব্দ শুনুন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ ব্যাখ্যা করে বলেছে শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেলের মধ্যেই থাকা উচিত। এর ফলে শ্রবণশক্তি হারানোর সম্ভাবনা কম থাকে। ৮৫ ডেসিবেলের ওপর শব্দের মাত্রা উঠলে শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকি থেকে যায়। ড. ফিঙ্কের মতে, যে কোনও সাউন্ড সিস্টেমে গান শুনবার সময় বোঝা যায় না সেটা কত ডেসিবেলে শোনা হচ্ছে, তাই ডিভাইসটির সেটিংস ৫০ শতাংশ করে শোনার পাশাপাশি দিনের অল্প সময়ের জন্য গান শোনা শ্রেয়। এক্ষেত্রে কার্সন বলেছেন, আইফোনের (iPhone) ডিভাইসগুলি অনেকটা উন্নত শ্রবণের ক্ষেত্রে। হিয়ারিং (Hearing) নামের একটি অ্যাপ্লিকেশনও আছে, যার কন্ট্রোল সেন্টারের (Control Center) সাহায্যে ইউজার জেনে যেতে পারবেন তিনি কত ডেসিবেলে শব্দ শুনছেন। সেই মতো সচেতন হতে পারবেন। গবেষকরা, বারে বারে সাবধান করেছেন শিশু, কিশোর, যুব-সমাজকে। কারণ, এটাই তাদের শেখার সময়। এই সময় যদি তারা নিজেদের প্রতি যত্ন না নেয়, তাহলে সামাজিক বিকাশ ও শিক্ষাগত যোগ্যতায় প্রভাব ফেলতে পারে শুনতে না পারার ক্ষমতা।
advertisement
4/6
সাউন্ড লেভেল মিটার অ্যাপের ব্যবহার একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এলাকার শব্দমাত্রা কত তা এক নিমেষে মেপে নেওয়া যায়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (National Institute for Occupational Safety and Health) এই অ্যাপটিকে বাজারে নিয়ে এসেছে। যার পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
advertisement
5/6
কখন বোঝা যায় কম শোনা যাচ্ছে এক্ষেত্রে প্রথমেই যে লক্ষণটি ধরা পড়ে সেটা হল, আশেপাশের এলাকায় গোলযোগ হলে শুনতে না পাওয়া। কারও সঙ্গে কথা বলার সময় কম শুনতে পাওয়া এগুলোই প্রথম লক্ষণ।
advertisement
6/6
শোনার ক্ষমতা কতটা রয়েছে যদি কারও বয়স ৫০-এর বেশি হয় এবং তিনি উচ্চ শব্দমাত্রার মুখোমুখি হন, তাহলে সেই ব্যক্তিকে বছরে একবার শ্রবণশক্তির পরীক্ষা করাতে হবে। যদি কারও শোনার ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দেয়, অথবা কানের মধ্যে প্রায় সব সময়েই কোনও আওয়াজ শুনতে পান তাহলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি কানের চিকিৎসা করাতে হবে।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Head Phones: হেডফোন, ইয়ারবাডস ধীরে ধীরে ক্ষতি করছে শ্রবণশক্তির! বাঁচবেন কী ভাবে?