Tips before Gym Joining: কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে জিম তো জয়েন করেছেন..‘এই’ পরীক্ষাগুলো করিয়েছেন তো? নাহলে কিন্তু হতে পারে মৃত্যুও, বলছেন ডাক্তার

সুস্থ এবং ফিট থাকতে আমরা কে না চাই৷ ছেলেরা একদিকে যেমন চায় শরীরের ঠিকঠাক জায়গায় ঠিকঠাক মাসল, তেমনই টান টান চাবুকের মতো মেদহীন শরীর চান মেয়েরাও৷ সুস্থ থাকার চাবিকাঠি সত্যি সত্যিই লুকিয়ে রয়েছে নিয়মিত শরীরচর্চায়৷

কিন্তু, আমরা প্রায়শই বন্ধুদের দেখাদেখি জিম জয়েন করে ফেলি৷ তারপর অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে গিয়ে কিংবা সুঠাম শরীর গড়তে গিয়ে নেমে যাই এক অসম প্রতিযোগিতায়৷ যার জন্য আখছার জিমে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো দুর্ঘটনাও ঘটে৷ তাই এক কাঁড়ি টাকা দিয়ে জিম জয়েন করার আগে মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি৷

জিম জয়েন করার আগে আমাদের একবার অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত? মেপে নেওয়া উচিত শরীরে গ্রহণ ক্ষমতা? জিম বাছাই করার ক্ষেত্রেও বা মাথায় রাখা উচিত কোন কোন বিষয়? সেটাই এই প্রতিবেদনে আলোচনা করব আমরা৷

আহমেদাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালের কনসালটেন্ট ইন্টারনাল মেডিসিন, ডক্টর ভাইরাল প্যাটেল বলেন, "জিম জয়েন করার আগে প্রাথমিক ভাবে আমাদের হার্ট এবং লাঙ্স অর্থাৎ ফুসফুসের কার্যক্ষমতা, হিমোগ্লোবিন, লিপিড প্রোফাইল, থাইরয়েড প্রোফাইল, ইসিজি এবং 2D ইকো করিয়ে নেওয়া উচিত৷"

ভাইটাল পালস, রক্তচাপ, SPO2, রক্তে শর্করার মাত্রা এবং শরীরের অন্যান্য অংশের উপাদান যেমন CBC, কিডনির কার্যক্ষমতা এবং লিভার ফাংশন সহ একটি ভাল কার্ডিয়াক এবং পালমোনারি প্রোফাইল দেখে নেওয়া যেতে পারে৷

ডাঃ প্যাটেল জানান যে, "যদি কোনও ব্যক্তির পিঠে ব্যথা বা মেরুদণ্ড-সম্পর্কিত কোনও সমস্যা থাকে তবে তাঁদের অবশ্যই একটি স্ক্রিনিং করাতে হবে যাতে প্রশিক্ষক এই অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হন এবং সেই অনুযায়ী ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনও ওষুধ খাচ্ছেন কি না, তাঁর কোনও মেডিক্যাল হিস্ট্রি রয়েছে কি না, এই সবই জানাতে হয় জিমের প্রশিক্ষককে।"

স্পোর্টস ইনজুরি সেন্টার, দিল্লির স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ হারলিন উৎপল বলছেন, জিমে যাওয়ার আগে কোন ৫টি জিনিস পরীক্ষা করা উচিত৷ জিমের সরঞ্জাম, মেশিন সবই যেন ভাল থাকে, নিরাপদ থাকে৷

জিমের প্রশিক্ষক উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কি না, তা-ও জানতে হবে আগে৷ BPEd, ACSM, NASM বা NSDC দ্বারা স্বীকৃত একটি প্রতিষ্ঠান থেকে একটি প্রত্যয়িত কোর্স করা আবশ্যক। জিম কোচের জিম মেশিন সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।

ড. হারলিন বলেন, জিমে একটি ফার্স্ট এইড বক্স থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়াও পিরিয়ডের ব্যথা, পিরিয়ড ক্র্যাম্প ইত্যাদির জন্য এতে ট্যাবলেট, স্যানিটারি প্যাড ইত্যাদি থাকতে হবে। এছাড়াও, উপস্থিত কর্মীদের ALS এবং CPR সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।