Health Benefits of Jaggery: এই জিনিস খেলে শরীর হবে লোহার মতো! শুধু জানুন আসল নকল চেনার উপায়

গুড় মূলত আখ থেকে তৈরি একটি স্বাস্থ্যকর মিষ্টান্ন, যা ২০% ইনভার্টেড শুগার, ৫০% সুক্রোজ, ২০% আর্দ্রতা এবং বিভিন্ন ধরনের দ্রবণীয় উপাদান নিয়ে গঠিত। গুড়ের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, প্রোটিন এবং ভিটামিন বি-সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে।

পাচন সহজ করে: গুড় হজমে সহায়ক এবং খাওয়ার পর এটি পেটের এনজাইমগুলো সক্রিয় করে, ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।

ডিটক্সিফিকেশন: গুড় শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে এবং লিভারকে পরিষ্কার রাখে।

রক্ত পরিষ্কার করে: গুড় আয়রনের একটি ভালো উৎস, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে এবং অ্যানিমিয়া (রক্তস্বল্পতা) কমাতে সহায়ক।

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে: গুড় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ (যেমন সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক) ধারণ করে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি-কাশি থেকে সুরক্ষা দেয়।

এনার্জি প্রদান: গুড় চিনির তুলনায় স্বাস্থ্যকর, কারণ এটি ধীরে ধীরে শক্তি মুক্তি করে, ফলে শরীর ক্লান্তি অনুভব করে না।

হাড় শক্তিশালী করে: গুড়ের মধ্যে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস থাকে, যা হাড়ের শক্তি বাড়ায় এবং জয়েন্টের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিসে উপশম দেয়।

ভেজাল গুড় -  বাজারে অনেক সময় ভেজাল গুড় পাওয়া যায়, যা সাধারণত ক্যালসিয়াম কার্বোনেট এবং সোডিয়াম বাইকার্বোনেট দ্বারা মেশানো হয়। ক্যালসিয়াম কার্বোনেট গুড়ের ওজন বাড়ায়, আর সোডিয়াম বাইকার্বোনেট গুড়ের রঙ উজ্জ্বল করে। এছাড়াও, গুড়ে চিনির এবং সেফোলাইট নামক রাসায়নিক মেশানো হয়। মিশ্রিত গুড় খেলে তার উপকারিতা কম এবং ক্ষতি হতে পারে।

গুড় চেনার উপায় - রঙের দিকে নজর দিন: মিশ্রিত গুড় গাড় বাদামি রঙের হয়, তবে আসল গুড় হালকা হলুদ বা বাদামী রঙের হয়। আসল গুড় উজ্জ্বল এবং স্বচ্ছ দেখতে হয়।

গরম করে পরীক্ষা করুন: গুড় প্যানে গরম করলে, আসলটি গাঢ় তরল হয়ে যায়, যখন ভেজাল গুড় জলের মতো হয়ে যায়।

গুড়ের অনেক উপকারিতা থাকলেও এটি সঠিক পরিমাণে খাওয়া উচিত, কারণ এতে ক্যালোরি থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।