সস্তার এই 'পাতা'র হাজার গুণ! মোমের মতো চর্বি গলে, পালায় ক্যানসার! দূরে থাকে 'স্ট্রেস'

রান্নায় দিলে খাবারে সুন্দর স্বাদ গন্ধ হয় তো বটেই, কারি পাতার গুনাগুণও অনেক! প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এই পাতা যা স্বাস্থ্যের উপকারে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে। ভাবতে পারেন, এই এক পাতার মধ্যেই রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই! দেখে নেওয়া যাক, কারি পাতা রোজ কীভাবে খেলে কী উপকার পাবেন।

কারি পাতা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এগুলি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজগুলির একটি ভাল উত্স, যা হাড়ের স্বাস্থ্য, রক্ত সঞ্চালন এবং আরও অনেক কিছুর জন্য প্রয়োজনীয়।

কারি পাতায় অ্যালকালয়েড, গ্লাইকোসাইড এবং ফেনোলিক যৌগের উপস্থিতি তাদের ঔষধি গুণকে বাড়িয়ে তোলে। এই যৌগগুলি তাদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত।

পুষ্টিবিদ, চিকিৎসক বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, "নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করলে মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ভাল থাকে৷ দুর্দান্ত উপকারী এই কারি পাতা। শরীরের সমস্ত অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই পাতা। সেই সঙ্গে একাধিক মারণ রোগকে দূরে রেখে আয়ু বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।’’

হজমশক্তি বাড়ায়: কারি পাতা হজমের এনজাইমকে উদ্দীপিত করে, খাবারের কার্যকরী ভাঙনে সাহায্য করে। তারা হজম সংক্রান্ত সমস্যা যেমন বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাস দূর করতে সাহায্য করতে পারে। কারি পাতায় থাকা ফাইবার উপাদান নিয়মিত অন্ত্রের আন্দোলনকে উন্নীত করে একটি সুস্থ অন্ত্রে অবদান রাখে।

লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে: কারি পাতার হেপাটোপ্রোটেকটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার মানে তারা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ক্ষতিকারক টক্সিনের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে লিভারকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে তাদের ক্ষমতা মূলত লিভারের ব্যাধিযুক্ত ব্যক্তিদের উপকার করে।

ত্বকের স্বাস্থ্য বাড়ায়: কারি পাতার ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য উপকারী। তারা ব্রণ, দাগ এবং সূক্ষ্ম রেখা কমাতে সাহায্য করে, ত্বককে তারুণ্য এবং উজ্জ্বল চকচকে দেয়। 

ক্যানসার প্রতিরোধ করে: কারি পাতায় বিভিন্ন যৌগ রয়েছে যেগুলিতে ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে। তারা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে আটকাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে লিউকেমিয়া এবং প্রোস্টেট ক্যানসারের ক্ষেত্রে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা শরীরকে সংক্রমণ ও রোগ প্রতিরোধী করে তোলে।

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রভাব: কারি পাতার উল্লেখযোগ্য অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আর্থ্রাইটিসের মতো অবস্থার চিকিৎসায় এবং শরীরে প্রদাহ কমাতে উপকারী হতে পারে। পেটও ঠান্ডা রাখে।

 ওজন কমাতে সাহায্য করে: কারি পাতা মেটাবলিজম ত্বরান্বিত করে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাদের ফাইবার সামগ্রী আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখতে সহায়তা করে।