Hair Care Tips: মা-ঠাকুমার আমলের এই ঘরোয়া টোটাকাতেই চুলের সমস্যার সমাধান এক চুটকিতেই
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
বাজারে জবা ফুলের তেল কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাতে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক থাকে। ফলে চুলের দফারফা হওয়ার সম্ভাবনা।বাজারের তেলের দরকার কী, চুল পড়া ঠেকাতে ঘরেই বানিয়ে নিন জবাফুলের তেল!
advertisement
1/8

#নয়াদিল্লি: জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা। ছোটবেলায় এই টাংটুইস্টার আওড়েছেন অনেকেই। তাই এটা মাথায় ঢুকে গিয়েছে যে তেল চুলের খাদ্য। তেল মাখলে চুল ভালো হয়। কিন্তু চুলের বৃদ্ধির জন্য কোন ধরনের তেল সবচেয়ে ভালো জানা আছে কি? চুল ঝরার সমস্যায় জর্জরিত হয়ে অনেকেই মাথায় নানা ধরনের তেল লাগান। কিন্তু জবা ফুলের তেলের কোনও বিকল্প নেই।
advertisement
2/8
এই ফুলটিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা খুশকির সমস্যা দূর করতে এবং চুল পড়া কমাতে দারুন কাজে দেয়। শুধু তাই নয়, অকালে চুল সাদা হয়ে যাওয়া আটকাতেও এটি সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, জবা ফুলের তেলে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন-সি, এ এবং আলফা-হাইড্রোক্সিল অ্যাসিড থাকে, যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো করে। বাজারে জবা ফুলের তেল কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাতে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক থাকে। ফলে চুলের দফারফা হওয়ার সম্ভাবনা। এর থেকে জবা ফুলের তেল বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া ভালো।
advertisement
3/8
জবা ফুলের তেল বানাতে যা যা লাগবে: ৮ টা লাল জবা ফুল, ৮ টা জবা পাতা এবং এক কাপ নারকেল তেল। জবা ফুলের তেল বানানোর পদ্ধতি: প্রথম ধাপ – জবা ফুল এবং জবা পাতাগুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
advertisement
4/8
দ্বিতীয় ধাপ - এবার ফুলগুলো থেকে পাপড়ি আলাদা করে নিতে হবে। তৃতীয় ধাপ - পাপড়ি এবং পাতাগুলো মিক্সিতে দিয়ে একটা মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে হবে।
advertisement
5/8
চতুর্থ ধাপ - এবার একটি সসপ্যানে এক কাপ নারকেল তেল গরম করে তার মধ্যে এই জবা ফুল ও পাতাবাটার মিশ্রণটা ঢেলে দিতে হবে। পঞ্চম ধাপ – সসপ্যানের উপর একটা পাত্র ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। এভাবে ফুটুক কয়েক মিনিট।
advertisement
6/8
ষষ্ঠ ধাপ – টগবগ করে ফুটতে শুরু করলে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। জবা ফুলের তেল তৈরি। তেল ঠান্ডা হয়ে গেলে একটা কাচের শিশিতে ভরে ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেওয়া যায়। এই তেল সপ্তাহে তিনদিন ১০ মিনিট স্ক্যাল্পে মাসাজ করলে উপকার মিলবে হাতেনাতে। প্রসঙ্গত, নারকেল তেলের বদলে অলিভ অয়েল বা আমন্ড তেলও ব্যবহার করা যায়।
advertisement
7/8
তেল ব্যবহারের পদ্ধতি: এই তেল সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার চুলে ব্যবহার করতে হবে। হাতের তালুতে নিয়ে ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত। মাসাজ করতে হবে স্ক্যাল্পেও, যাতে তেল চুলের গোড়ায় ভালোভাবে পৌঁছতে পারে। তেল লাগানোর পর গরম তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে হবে।
advertisement
8/8
খেয়াল রাখতে হবে তোয়ালে যেন খুব বেশি গরম না হয়। তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে রাখার ফলে মাথার ত্বকে বন্ধ ছিদ্রগুলো খুলে যাবে এবং তেলের পুরো পুষ্টি চুল শোষণ করতে সক্ষম হবে। তেলটি মাথায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে এভাবেই। তারপর তোয়ালে খুলে নিয়ে ভালোভাবে শ্যম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Hair Care Tips: মা-ঠাকুমার আমলের এই ঘরোয়া টোটাকাতেই চুলের সমস্যার সমাধান এক চুটকিতেই