বিশেষজ্ঞদের মতে, দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে কী ভাবে কমে যায় শরীরের ভিটামিন–ডি মাত্রা! জানলে রোজ সকালে উঠবেন
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে সকালে সূর্যালোকের সংস্পর্শ কম হয়। বিশেষত UVB রশ্মির ঘাটতির কারণে শরীরের ভিটামিন–ডি তৈরি হওয়া উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
advertisement
1/8

দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে সকালে সূর্যালোকের সংস্পর্শ কম হয়। বিশেষত UVB রশ্মির ঘাটতির কারণে শরীরের ভিটামিন–ডি তৈরি হওয়া উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। (Representative Image:AI)
advertisement
2/8
অনেক সময় সকালে দেরি করে উঠতে মন চায়—ব্যস্ত সপ্তাহের পর একটু বিশ্রাম, একটু আরাম। কিন্তু নিয়মিত দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা শরীরের এক অত্যাবশ্যক পুষ্টি–উপাদানকে নীরবে কমিয়ে দিতে পারে—ভিটামিন ডি। সূর্যালোকের সংস্পর্শে ত্বকে স্বাভাবিক ভাবে তৈরি হওয়া এই হরমোন–জাতীয় ভিটামিন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, মুড, হাড়ের শক্তি এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের সূর্য না পেলে এই ভিটামিনের মাত্রা কমে যেতে থাকে। (Representative Image:AI)
advertisement
3/8
সকালের রোদ না পেলে কী হয়? Manipal Hospital, Bhubaneshwar-এর কনসালট্যান্ট ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. প্রদীপ নারায়ণ সাহু বলেন, “সকালে সূর্য না দেখেই যদি বেশি দেরিতে ওঠা হয়, তা হলে ভিটামিন–ডি সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় UVB রশ্মির সঠিক মাত্রা পাওয়া যায় না।” (Representative Image:AI)
advertisement
4/8
তিনি জানান, দিনের পরের দিকে সূর্যের তেজ হয়তো বেশি থাকে, কিন্তু UVB–র ভারসাম্য থাকে না—ফলে ভিটামিন–ডি তৈরির ক্ষমতা কমে যায়। এর প্রভাব শুধু হাড়ে নয়—“ক্লান্তি, ব্রেন ফগ, ত্বক শুষ্ক হওয়া, চুল ভঙ্গুর হওয়া, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া—এ সবই ঘাটতির সাধারণ উপসর্গ,” বলেন তিনি। (Representative Image:AI)
advertisement
5/8
দীর্ঘমেয়াদি ঘাটতিতে কী সমস্যা হয়? KMC Hospital, Mangalore-এর অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ড. সুরেন্দ্র ইউ কামাথ জানান, ভিটামিন–ডি–কে ‘সানশাইন নিউট্রিয়েন্ট’ বলা হয়—হাড় ও দাঁতের জন্য ক্যালসিয়াম–ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণে এর গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি সতর্ক করেন— ভিটামিন–ডি ঘাটতি দীর্ঘ দিন চললে শিশুদের রিকেট, প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওম্যালেসিয়া, আর বয়স বাড়লে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন–ডি–ও ক্ষতিকর—তাই ব্যক্তিভেদে সঠিক পরামর্শ জরুরি। (Representative Image:AI)
advertisement
6/8
Aster RV Hospital, Bangalore-এর সিনিয়র ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট আদিতি প্রসাদ আপ্তে জানান— “ভিটামিন–ডি স্বাভাবিক ভাবে তৈরির সবচেয়ে কার্যকর সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টার মধ্যে, যখন UVB রশ্মি তীব্র এবং ছায়া সবচেয়ে ছোট।” দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে এই গুরুত্বপূর্ণ সময় কমে যায়। শীতকালে দিন ছোট হয়—ফলে সমস্যা আরও বাড়ে। তিনি আরও বলেন, দেরিতে ওঠার ফলে সার্কাডিয়ান রিদম বা শরীরের জৈবিক ঘড়ি বিঘ্নিত হয়—যার ফল কম শক্তি, ক্লান্ত ভাব, খারাপ মুড, ধীরে পেশি–রিকভারি—সবই, যা ভিটামিন–ডি ঘাটতির সঙ্গে যুক্ত। (Representative Image:AI)
advertisement
7/8
কী ভাবে স্বাভাবিক ভাবে ভিটামিন–ডি বাড়াবেন? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ— • ঘুম থেকে ওঠার কিছুক্ষণ পর অন্তত ১০–১৫ মিনিট বাইরে রোদে দাঁড়ানো • সকালে না হলে মধ্যাহ্নের রোদে কিছুক্ষণ থাকা • খাদ্যতালিকায় ফর্টিফায়েড দুধ–দই, ডিম, ফ্যাটি ফিশ রাখা • প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট • নির্দিষ্ট ঘুম–জাগার রুটিন বজায় রাখা (Representative Image:AI)
advertisement
8/8
দিনে দেরিতে ওঠা তেমন গুরুতর মনে না হলেও, দীর্ঘমেয়াদে তা সূর্যালোকের সংস্পর্শ কমিয়ে দেয় এবং শরীরের ভিটামিন–ডি তৈরির ক্ষমতাও হ্রাস করে। নিয়মিত সকালে ওঠা, রোদ পাওয়া এবং সুষম খাদ্য বজায় রাখা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, হাড়ের শক্তি, শক্তির মাত্রা এবং মুড ভালো রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। (Representative Image:AI)
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে কী ভাবে কমে যায় শরীরের ভিটামিন–ডি মাত্রা! জানলে রোজ সকালে উঠবেন