Grey Divorce Reasons: পরকীয়া? পাখি উড়ে যাওয়ার শূন্য বাসার বিষণ্ণতা? কোন কাঁটায় হয় Grey Divorce? ধূসর বিচ্ছেদের কারণ জানুন দম্পতিরা

জীবনের পরিণত পর্বে যখন সঙ্গী সাহচর্য সবথেকে বেশি দরকার, তখনই একা থাকার বা সঙ্গী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সম্পর্কের পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে Grey Divorce। চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে যখন মাথায় ভিড় বাড়ছে পাকা চুলের বা গ্রে হেয়ারের, সে সময়ই জীবনে আসছে গ্রে ডিভোর্স বা ধূসর বিবাহবিচ্ছেদ।

২০,৩০ থেকে শুরু করে ৪০ বছরের দাম্পত্য কাটিয়ে ফেলার পরও হচ্ছে ডিভোর্স। চুলে রুপোলি রেখার পাক নিয়ে জীবনে নতুন পথে পা রাখছেন কেউ কেউ। বলিউডের সেলেব্রিটিদের মধ্যে এই ট্রেন্ড এখন পরিচিত। দেখা গিয়েছে টলিউডের তারকাদের মধ্যেও।

সানিয়া মির্জা-শোয়েব মালিক, মালাইকা অরোরা-আরবাজ খান, সীমা সজদেহ-শোহেল খান, হৃতিক রোশন-সুজান খান, কিরণ রাও-আমির খান-এর মতো তারকা জুটি ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছে গ্রে ডিভোর্সের ঝড়ে।

সম্প্রতি সেই তালিকায় নাম লেখালেন এ আর রহমান এবং সায়রা বানু। দীর্ঘ ২৯ বছরের বিবাহিত জীবনে ইতি টানলেন।

অভিষেক এবং ঐশ্বর্যর সম্পর্কের টানাপড়েন এখন বলিউডি গুঞ্জনের কেন্দ্রে। তাঁরা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলে সেটাও হবে গ্রে ডিভোর্স।

কিন্তু কেন হয় এই ধূসর বিচ্ছেদ? দীর্ঘ সময় একসঙ্গে পথ চলার পর কেন ভাঙছে দম্পতির জুটি? একাধিক কারণ উঠে এসেছে মনোবিদদের আলোচনায়।

অনেক দম্পতির সম্পর্কের বন্ধন তাঁদের সন্তান। যখন সন্তান বড় হয়ে পড়াশোনা, চাকরি বা বিয়ের সূত্রে বাড়ির বাইরে চলে যায়, তখন একে অন্যকে অসহ্য বলে মনে হয়। একসঙ্গে একই ছাদের নীচে থাকা যাবে না বলে মনে হতে থাকে। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। একে বলে ‘Empty Nest Syndrome’। শূন্য বাসায় বিষণ্ণ দম্পতি।

পরিণত বয়সে অবসরজীবন কাছে এলে প্রকট হতে পারে আর্থিক কারণ। আচমকা আসা অর্থসঙ্কটের জেরে দেখা দিতে পারে মনোমালিন্য। আবার আর্থিক প্রাচুর্যের জন্যও সমস্যা হতে পারে।

ধূসর বয়সেও আসে নতুন প্রেম ও পরকীয়া। এই সময়ে সঙ্গীর বিশ্বাস ভেঙে গেলে সেটা জোড়া লাগা কঠিন। সঙ্গীর বিশ্বাসভঙ্গ বার্ধক্যে মেনে নিতে পারেন না অনেকেই। অল্প বয়সের পরকীয়াও নতুন করে কারণ হয়ে ভেসে উঠতে পারে।

সঙ্গীর ক্রনিক অসুস্থতাও মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। সাহচর্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার বদলে দায়িত্ব থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে চান অন্য সুস্থ সঙ্গী। জীবনের প্রতি আলাদা দৃষ্টিভঙ্গিও আনে বিচ্ছেদ। দু’জনে হয়তো একইরকম ভাবে বার্ধক্য কাটাতে চাইছেন না। পরিবর্তিত সামাজিক ট্রেন্ডও প্রভাব ফেলে মানসিকতায়। ফলে আর্থিক সঙ্গতি থাকলে পরিণত বয়সেও ডিভোর্সের পথে হাঁটতে পা রাখতে ভয় পাচ্ছেনা আজকের দম্পতিরা।