Healthy Lifestyle: শীতের 'প্রিয়' সবজি...! বলুন তো কড়াইশুঁটি আর মটরশুঁটি এক না আলাদা? কঠিন প্রশ্ন কিন্তু

শীত মানেই আনাজের মেলা। আর তার মধ্যে কড়াইশুঁটি তো মাস্ট।

পুষ্টিবিদের মতে, রোজকার ডায়েটে মটরশুঁটি রাখলে হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় থাকে৷ খনিজ, ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ফোলেট থাকার কারণে সার্বিক সুস্থতার জন্য মটরশুঁটি প্রয়োজনীয়৷

বিশিষ্ট ডাক্তার কৌশিক সেনগুপ্ত বলেছেন মটরশুঁটির উপকারিতার কথা৷ পুষ্টিগুণে ভরা মটরশুঁটিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ক্যারোটেনয়েডস৷ এই দুই উপাদান সাহায্য করে ক্রনিক অসুখ নিয়ন্ত্রণে৷

নিরামিষ আলুর দম হোক বা পোলাও, সবেতেই দিতে হবে কড়াইশুঁটি। প্রোটিনে ভরপুর কড়াইশুঁটি খাওয়া যায় মাছ, মাংসের পরিবর্তেও। নিরামিষভোজী না হলেও পুষ্টিবিদরা এখন সকলকেই বেশি করে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খেতে পরামর্শ দেন। ভিটামিন, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং ফাইবারের গুণে সমৃদ্ধ কড়াইশুঁটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

কড়াইশুঁটিতে থাকা ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সব্জিতে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়া, অন্ত্রের খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করে অন্ত্রকে সুস্থ থাকে। শুধু তা-ই নয়, কড়াইশুঁটি কোলন ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমিয়ে আনতে পারে।

শীতকালে সকলের প্রিয় সবজি কড়াইশুঁটি। কড়াইশুঁটি এইসময় প্রতিটি বাড়িতে ভরে ভরে রাখা থাকে। কড়াইশুঁটির কচুরি থেকে শুরু করে নানা রকমের রান্নায় এর ব্যবহার এখন চলতে থাকবে।

মটরশুঁটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম৷ ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না৷ এর ফাইবার ও প্রোটিন শর্করা শোষণেও বাধা দেয়৷ যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা নিয়মিত মটরশুঁটি খান৷

কড়াইশুঁটির খোসা ছাড়ানোর ঝামেলা থাকলেও শীতে কেউ এটিকে বাদ দিতে পারেন না। কিন্তু এর আসল নামটা কী? কড়াইশুঁটি নাকি মটরশুঁটি?

Pisum sativum কে বাংলায় মটরশুঁটি বা কড়াইশুঁটি বলে। বাংলায় মটর শব্দের অর্থ কড়াইশুঁটি দানা এবং শুঁটি শব্দটির অর্থ বীজ কোষ। দুটির অর্থ একই। আলাদা আলাদা নয়।

শীতকাল মানেই সবজির সমাহার। শীত মানেই মটরশুঁটি। ঘুগনি, পরোটা, তরকারি বা আরও অনেক সুস্বাদু খাবার তৈরি হয় মটরশুঁটি দিয়ে। এটি শুধু স্বাদই দেয় না, স্বাস্থ্যও বাড়ায়, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, কে, প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টি উপাদান এতে পাওয়া যায়।

তবে ব্যথা থাকলে, বিশেষ করে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে মটরশুঁটি না খাওয়াই ভাল। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।