ফুলের 'সুনামি' নামবে...! এই বিশেষ 'লিক্যুইড' ১ গ্লাস ঢকঢক করে ঢেলে দিন গোড়ায়, তরতরিয়ে বাড়বে গাছ, গ্যারান্টি!

কখনও দেখেছেন ১২ মাস ধরে ফুল ফোটানো গাছগুলিতেও মাঝে মাঝে ফুল ফোটে না? এমন পরিস্থিতিতে বাগান করা মোটেও আর আনন্দের হয় না। বরং চিন্তা বাড়তে থাকে? আপনি বার বার খুঁজতে থাকেন কী কী ভুল করছেন।

বাগানে যদি সবসময় ফুল ফোটে এবং রঙিন প্রজাপতিরা আসা-যাওয়া করতেই থাকে, তাহলে সত্যিই ভাল হত। কিন্তু একথা ঠিক যে মাঝে মাঝে গাছে পাতা তো থাকে, কিন্তু ফুলের দেখা পাওয়া যায় না।

বাগানে কেবল গোলাপ, গাঁদা, ড্যাফোডিল এবং চন্দ্রমল্লিকার মতো ফুলই নয়, আরও অনেক বহুবর্ষজীবী ফুলের গাছ লাগানো যেতে পারে, কিন্তু সমস্যা হল এই গাছগুলিতে বছরে মাত্র একবার ফুল আসে, যা যথেষ্ট নয়। আর গরমে বেশি ভাল চলে বেল, জুঁই, টগর, গন্ধরাজ।

আপনি কি জানেন সামান্য কিছু ছোট্ট উপায়েই সারা বছর ফুল ফোটানো যায় গাছে? ম্যাজিকের মতো ভরে যায় বাগান যদি ট্রাই করেন এই টোটকা!

চলুন জেনে নেওয়া যাক, এর জন্য গাছগুলিকে কী ধরণের সার দেওয়া উচিত? যদি আপনি সত্যিই আরও বেশি বেশি ফুল চান, তাহলে আপনাকে গাছের জন্য ভাল পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে।

ফুল তখনই সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে যখন গাছের মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমানে বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিছু দুর্দান্ত ঘরোয়া প্রতিকার কী ভাবে এক্ষেত্রে আপনার বাগানকে স্বর্গের বাগানের মতো সুন্দর করে তুলতে পারে।

একটি বড় পাত্রে কাটা আলু নিন। এতে আধা চা চামচেরও কম বেকিং পাউডার দিন। সঙ্গে ১ চা চামচ ব্রাউন সুগারও দিন। তার সঙ্গে দুই টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ব্যবহার করুন।

এখানেই শেষ নয় এবার এই মিশ্রণে ১ লিটার জল যোগ করুন এবং এটি ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিন যাতে এটি গেঁজে যায়। তারপর এটি গাছের গোড়ায় ঢেলে দিন।

তবে এই সার ব্যবহার করার সময় এই 'ভুলগুলি' করবেন না! অন্যথায়, আপনার গাছ শুকিয়ে যেতে পারে। মনে রাখবেন, এই সার কিন্তু বারবার ব্যবহার করবেন না। এটি ব্যবহার করার সময়, গাছের চারপাশের মাটি একটু খুঁড়ে নিন।

এই সার প্রয়োগের পর কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা গাছে জল দেবেন না। একটি জিনিস আপনার মনে রাখা দরকার যে এই সারে চিনিও থাকে, যা পিঁপড়েদের গাছের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারে। অতএব, জবার মতো গাছে এই সার প্রয়োগ করবেন না, যেখানে প্রায়শই পিঁপড়ে আসে।

পোকামাকড় থেকে গাছপালা রক্ষা করার জন্য নিমের গুঁড়ো ব্যবহার করুন: এই সারটিতে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ এবং চিনি থাকে, তাই এটি ব্যবহার করলে পোকামাকড় আকৃষ্ট হতে পারে। সার প্রয়োগের দু'দিন পর মাটিতে নিমের বীজ রাখুন।

নিমের তেলের সাহায্যেও আপনি পোকামাকড় তাড়াতে পারেন। এটি পোকা-মাকড়ের যম। যে কোনও গাছেই নিম তেল দিয়ে পোকামাকড় তাড়ানো যায়।

মাটি আর্দ্র রাখার জন্য নিয়মিত গাছে জল দিন, তবে অতিরিক্ত জল দেওয়ার দরকার নেই। অতিরিক্ত জল দেওয়ার ফলে শিঁকড় পঁচে যেতে পারে, যা অত্যন্ত ঝুঁকির হয়ে উঠতে পারে। এমনকি এই 'ভুল' গাছগুলিকে মেরে ফেলতে পারে। তাই সতর্ক থাকা মাস্ট।