ফ্রিজে ৩/৪ দিন মাছ থাকলেই বদলে যায় স্বাদ, গন্ধ! শুধু 'এই' উপায়ে সংরক্ষণ করুন, ১৫ দিন পরেও থাকবে বাজারের মতোই 'ফ্রেশ'

*মাছ খায় না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। চিকেন, মাটন, ডিম বা সবজি যাই হোক না কেন, খাদ্যরসিকদের বাঙালির পাতে এক টুকরো মাছ থাকলে অন্য কিছুর প্রয়োজন হয় না।

*বেশির ভাগ মানুষের জন্য দুপুর বা রাতের খাবারে এক টুকরো মাছ থাকাই যথেষ্ট। মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করে। মাছ অনেকেরই প্রিয় আমিষ খাবার। বিশেষ করে বাংলা-সহ যে সব রাজ্যে বাঙালিদের আধিপত্য বেশি, সেই সব মানুষের জন্য মাছ খাওয়ার পাঁচটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে বলে মনে করা হয়। মাছ দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি তৈরি করা যায়। এগুলো সবই খেতে খুব সুস্বাদু।

*দীর্ঘ সময়ের জন্য মাছ সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি পরিবারে মাছ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা সাধারণ অভ্যাস। বলা হয়, মাছপ্রেমীরা প্রতিদিন মাছ না খেলে তাদের খাওয়া যেন সম্পূর্ণ হয় না! এই জন্য প্রতি সপ্তাহে পর্যাপ্ত মাছ একবারে কিনে তারা ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন।

*কিন্তু এভাবে মাছ সংরক্ষণের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন না করলে স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ পরিবারে মাছ কেটে, তার টুকরো সরাসরি প্লাস্টিকের কভারে বা প্লাস্টিকের পাত্রে রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে। কিন্তু এটা সঠিক পদ্ধতি নয়। প্রথমে মাছ ভাল করে ধুয়ে রক্ত, মাথা ও পেটের অংশ সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলুন।

*এরপর প্রতিটি মাছের টুকরো একেবারে পাতলা প্লাস্টিকের কভারে একে একে প্যাক করা উচিত। এগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ১০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে তাপমাত্রায় ফ্রিজে রাখা উচিত। এটি মাছের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ সংরক্ষণ করে। যে পাত্রে মাছ সংরক্ষণ করা হয় তা সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।

*সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে হিমায়িত মাছ ৩ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে সেই মাছ বাজার থেকে কেনার সময় কতটা তাজা তার উপর নির্ভর করে। এবারে এটি এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন, এতে দুর্গন্ধের সমস্যা হ্রাস হবে।

*বেকিং সোডা, একটি ছোট খোলা পাত্রে রেখে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন, যাতে মাছের গন্ধ ফ্রিজে জমা না হয়। রেফ্রিজারেটরকে তাজা গন্ধ দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝে, সেখানে লেবুর টুকরোও রাখতে পারেন।

*মাছ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে চাইলে... পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, তাপমাত্রা, সঠিক প্যাকেজিং- এই তিনটিই মেনে চলতে হবে। এগুলো মেনে চললেই মাছ দীর্ঘ সময় সতেজ থাকবে এবং স্বাস্থ্য বজায় থাকবে। তা না হলে মাছের গন্ধ ও হজমে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

*Disclaimer: এই আর্টিকেলে প্রদত্ত সাধারণ তথ্য। এটি একইভাবে সবার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। ফলাফল ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। আপনি এটি বিবেচনায় নেওয়ার আগে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।