Explainer: বিষাক্ত মশা, কামড়ালেই চূড়ান্ত বিপদ! কেন একের পর এক ব্লাড টেস্ট করাতে বলেন ডাক্তারবাবু
- Published by:Pooja Basu
Last Updated:
আসলে ছোট্ট একরত্তি এই পতঙ্গের কামড়ের ত্বকে লাল দাগ এবং চুলকানি তো হয়ই। তবে সেই সঙ্গে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া, জিকা ভাইরাস, ইয়েলো ফিভার এবং জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের মতো বিপজ্জনক রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী এই মশারাই।
advertisement
1/11

প্রত্যেক বছর ২০ অগাস্ট দিনটিকে বিশ্ব মশা দিবস বলে গণ্য করা হয়। আর এই বিশেষ দিনটি সারা বিশ্বের মানুষকে এটা মনে করিয়ে দেয় যে, ছোট্ট একটি পতঙ্গই পৃথিবীর সবথেকে মারাত্মক এবং বিপজ্জনক প্রাণী হয়ে উঠেছে। আসলে ছোট্ট একরত্তি এই পতঙ্গের কামড়ের ত্বকে লাল দাগ এবং চুলকানি তো হয়ই।
advertisement
2/11
তবে সেই সঙ্গে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া, জিকা ভাইরাস, ইয়েলো ফিভার এবং জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের মতো বিপজ্জনক রোগ ছড়ানোর জন্য দায়ী এই মশারাই। এমনকী এই সমস্ত রোগ কিন্তু প্রাণঘাতী পর্যন্ত হয়ে উঠতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে যে, বছরে প্রায় ৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ মশাবাহিত রোগের কারণে প্রাণ হারান। শুধু তা-ই নয়, লক্ষ লক্ষ মানুষের অসুস্থতার জন্যও দায়ী থাকে ছোট্ট এই প্রাণী।
advertisement
3/11
তাই যখন একজন চিকিৎসক মশার কামড়ের পর বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দেন, তখন এটিকে অতিরিক্ত কোনও প্রতিক্রিয়া ভাবলে চলবে না। কারণ এটি আদতেই একটি জীবন রক্ষার সতর্কতা মাত্র! এর কারণ ব্যাখ্যা করছেন বেঙ্গালুরুর মেট্রোপলিস হেলথকেয়ার কনসালট্যান্ট মাইক্রোবায়োলজিস্ট ডা. বাণী সি।
advertisement
4/11
চিকিৎসকরা কেন একাধিক টেস্টের পরামর্শ দিয়ে থাকেন?১. মশাবাহিত রোগের সন্দেহ দূর করতে:অনেক সময় মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু অনির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা যায়। এর মধ্যে অন্যতম হল - জ্বর, সারা দেহে যন্ত্রণা, র‍্যাশ এবং গাঁটে ব্যথা বা জয়েন্ট পেন। তবে মশাবাহিত ভিন্ন ভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে একই রকম উপসর্গ দেখা যায়, তাই চিকিৎসকেরা নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপর নির্ভর করেন।
advertisement
5/11
ম্যালেরিয়া: র‍্যাপিড ডায়াগনস্টিক টেস্ট, ব্লাড স্মিয়ার্স, PCRডেঙ্গি এবং চিকনগুনিয়া: NS1 অ্যান্টিজেন, IgM/IgG ELISA, PCRজিকা ভাইরাস: প্রথম পর্যায়ের সংক্রমণের ক্ষেত্রে PCR, পরবর্তী পর্যায়ে সেরোলজিদ্রুত রোগ শনাক্তকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেরিতে রোগ ধরা পড়লে কিন্তু সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি হেম্যারেজিক ফিভার অথবা জিকায় গর্ভাবস্থাকালীন জটিলতা পর্যন্ত তৈরি হতে পারে।
advertisement
6/11
অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া:বেশ কিছু ক্ষেত্রে মশার কামড়ের কারণে তীব্র অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে পারে। বিশেষ করে ছোট শিশু এবং কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তো বটেই! এই অবস্থাকে স্কিটার সিন্ড্রোম বলে ডাকা হয়। যার জেরে অতিরিক্ত ফোলা ভাব এবং ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে। অ্যালার্জিক হাইপারসেনসেটিভিটি বনাম সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে অ্যালার্জি ব্লাড টেস্ট অথবা স্কিন প্রিকের পরামর্শ দিতে পারেন চিকিৎসকরা।
advertisement
7/11
উচ্চ ঝুঁকির আওতায় থাকা রোগীদের সুরক্ষা:গর্ভবতী মহিলা, সদ্যোজাত শিশু, বয়স্ক রোগী এবং কম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন রোগীদের ক্ষেত্রেই মূলত মশাবাহিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা অ্যাগ্রেসিভ আর্লি টেস্টিংয়ের পরামর্শ দেন, যাতে গুরুতর জটিলতা এড়ানো যায়।
advertisement
8/11
সারা বিশ্বের পরিসংখ্যান: গোটা বিশ্ব জুড়ে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে মশাবাহিত মারণ রোগের দাপট:ম্যালেরিয়া: বার্ষিক প্রায় ২০০ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। আর ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
advertisement
9/11
ডেঙ্গি:প্রতি বছর ৩৯০ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে সংক্রমিত হয়ে থাকেন। শহুরে এবং ট্রপিক্যাল এলাকায় রোগের তীব্রতা বাড়ে। জলবায়ু পরিবর্তন, দ্রুত নগরসভ্যতার অগ্রগতি এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণের মতো বিষয়গুলির কারণেই কিন্তু নতুন নতুন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। তবে টেস্টিং শুধুমাত্র রোগীদের জন্যই নয়। এটা মূলত জনস্বাস্থ্যের উপর নজরদারিকে আরও শক্তিশালী করে। প্রাথমিক ভাবে রোগ শনাক্ত করা গেলে ভেক্টর-কন্ট্রোল ড্রাইভ শুরু করতে সাহায্য করে। রোগীর কনফার্মড কেস সোজা গিয়ে পৌঁছয় জাতীয় এবং WHO (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)-এর ট্র্যাকিং সিস্টেমে। রোগের বিষয়ে দ্রুত জানাজানি হলে তবেই শয়ে শয়ে সেকেন্ডারি ইনফেকশন বা সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
advertisement
10/11
সব শেষে কী করণীয়?মশার কামড় খেলে চিকিৎসকেরা একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে সেটা ভয় কিংবা আতঙ্কের জন্য নয়। বরং সতর্কতামূলক নজরদারির জন্যই এই পরীক্ষা করানো হয়। একাধিক মারণ মশাবাহিত রোগ, তীব্র অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া এবং অপ্রত্যাশিত জটিলতার বিরুদ্ধে প্রত্যেকটা টেস্ট বা পরীক্ষাই হল আসল রক্ষাকবচ।
advertisement
11/11
এই বিশ্ব মশা দিবস ২০২৫-এ একটা বিষয়ই মাথায় রাখতে হবে যে, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম ছোট্ট তথা মারণ ঝুঁকির বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার সবথেকে ভাল উপায় হল - সময়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের কড়া নজরও এক্ষেত্রে বজায় থাকা জরুরি।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Explainer: বিষাক্ত মশা, কামড়ালেই চূড়ান্ত বিপদ! কেন একের পর এক ব্লাড টেস্ট করাতে বলেন ডাক্তারবাবু