Skin Care: ত্বকের সমস্যার সমাধান খুঁজছেন ইনফ্লুয়েন্সারদের কাছ থেকে? বড় ভুল করছেন কিন্তু! চিকিৎসক কী বলছেন?
- Published by:Rachana Majumder
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
আসলে বহু চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এমনকী ডা. শাহ নিজেও বর্তমানে সঠিক বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য প্রদান করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন। তাই এই প্ল্যাটফর্ম কিন্তু সমস্যার বিষয় নয়। বরং আসল সমস্যা হল, কার থেকে পরামর্শ আসছে, সেটা যাচাই না করা। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, কোনও প্রোডাক্ট কিংবা ট্রিটমেন্ট ট্রাই করার আগে এর সোর্স পরীক্ষা বা যাচাই করতে হবে। আর সন্দেন থাকলে কোনও পেশাদার বিশেষজ্ঞেরই পরামর্শ নিতে হবে।
advertisement
1/9

একটা সময় ছিল, যখন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াকে অবসর সময়ের মজাদার সময় কাটানোর জন্য ব্যবহার করতেন। ডান্স চ্যালেঞ্জ, ফিল্টার এবং মেক-আপ ছিল সেই বিনোদনের মূল অঙ্গ। কিন্তু কোথাও গিয়ে এটা এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে, যেখান থেকে স্বাস্থ্য, রূপচর্চা সংক্রান্ত জরুরি পরামর্শ পেতে শুরু করেন মানুষ।
advertisement
2/9
স্কিনকেয়ার শুধু সৌন্দর্যেরই অঙ্গ নয়, এটা স্বাস্থ্যেরও বিষয়। কারণ ত্বক হল আমাদের দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অনেকটা হার্ট, লিভার অথবা ফুসফুসের মতোই। আর এই ত্বক পরিচর্যার বিষয়ে অনেকেই এখন ইনফ্লুয়েন্সারদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে থাকেন। অথচ এই ইনফ্লুয়েন্সাররা সাধারণত যখন শ্যুট করেন, তখন প্রচুর আলো জ্বালিয়ে সেই কাজ করেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ত্বক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে যেতেই যত অনীহা।
advertisement
3/9
আমরা তো রিলের দেখে হার্টের চিকিৎসা করি না কিংবা হার্টের ওষুধ খাই না। অথচ ত্বক পরিচর্যার কথা উঠলে বেশিরভাগ মানুষই ট্রেন্ড অনুসরণ করে থাকেন। কারণ তাঁরা বুঝতেই পারেন না যে, এতে তাঁদের ত্বক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে! যার জেরে অনেক সময়ই তাঁদের ব্রণ-পিম্পল, সংবেদনশীলতা এবং ক্ষতির মুখে পড়ে ত্বক বিশেষজ্ঞদের কাছে যেতে হয়। রেডিয়েন্স স্কিন ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা ডার্মাটোলজিস্ট ডা. ফাল্গুনী শাহ এই বিষয়ে আলোকপাত করছেন। তিনি কী বললেন সেটাই আজকের প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক।
advertisement
4/9
ডা. ফাল্গুনী শাহ-র বক্তব্য, ফিল্টার এবং অবাস্তব সৌন্দর্যের মানদণ্ডের পিছনে ছুটে চলেছেন মানুষ। অর্থাৎ এমন কিছু ট্রেন্ড তাঁরা মেনে চলেন, যার কোনও অস্তিত্বই নেই। এই অবাস্তব বিষয়গুলি হল - গ্লাস স্কিন অথবা পোরলেস স্কিন। অথচ বাস্তবে সুস্থ ত্বক মানেই তাতে থাকবে- টেক্সচার, পোর, ত্বকের টোনের বৈচিত্র্য। এটাই মানুষের স্বাভাবিক ত্বক।
advertisement
5/9
ডা. ফাল্গুনী শাহ বলেন যে, আমি যখন কারও ত্বক পরীক্ষা করি, তখন তিনটি জিনিসই শুধু দেখে থাকি। আর সেগুলি হল - ব্যালেন্সড টেক্সচার, ইভেন টোন এবং পর্যাপ্ত হাইড্রেশন। এটুকুই প্রয়োজন। কারও নিখুঁত নিদাগ ত্বকের দরকার নেই। শুধু সুস্থ ত্বকের প্রয়োজন।
advertisement
6/9
সমস্যাটি তখনই শুরু হয়, যখন মানুষ ট্রেন্ডিং প্রোডাক্ট, অ্যাসিড, সিরাম অথবা পিল ব্যবহার করে যেন ত্বকের উপর অতিরিক্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়। ত্বকের আদতে কোনটা প্রয়োজন, সেটা না বুঝেই এমনটা করা হয়। বরং স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি অথবা রেটিনল যদি সঠিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, তাহলে সেটা সবথেকে ভাল হতে পারে। কিন্তু ভুলভাল কম্বিনেশন বা ডোজ ব্যবহার করা হলে তা ত্বকের ব্যারিয়ার নষ্ট করে দিতে পারে।
advertisement
7/9
ত্বকের বাইরের স্তর ত্বককে হাইড্রেটেড এবং সুরক্ষিত রাখে। ব্যারিয়ার নষ্ট হলে ত্বক শুষ্ক এবং খসখসে হয়। ব্রণ হতে থাকে। সূর্যালোক এবং দূষণের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ডা. শাহ বলেন, আমি এটা ঘন ঘন দেখি যে, এখন আমরা 'সেনসিটিভ স্কিন সিন্ড্রোম' শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
advertisement
8/9
ঘরোয়া টোটকা প্রাকৃতিক হতে পারে। কিন্তু সেগুলি সব সময় নিরাপদ নয়। টুথপেস্ট, টোম্যাটো, লেবু অথবা মুলতানি মাটি মুখে ঘষলেই হল না। এতে জ্বালাপোড়া, ডিহাইড্রেশন অথবা দীর্ঘমেয়াদি জ্বালাপোড়া হতে পারে।
advertisement
9/9
আসলে বহু চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এমনকী ডা. শাহ নিজেও বর্তমানে সঠিক বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য প্রদান করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন। তাই এই প্ল্যাটফর্ম কিন্তু সমস্যার বিষয় নয়। বরং আসল সমস্যা হল, কার থেকে পরামর্শ আসছে, সেটা যাচাই না করা। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, কোনও প্রোডাক্ট কিংবা ট্রিটমেন্ট ট্রাই করার আগে এর সোর্স পরীক্ষা বা যাচাই করতে হবে। আর সন্দেন থাকলে কোনও পেশাদার বিশেষজ্ঞেরই পরামর্শ নিতে হবে।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Skin Care: ত্বকের সমস্যার সমাধান খুঁজছেন ইনফ্লুয়েন্সারদের কাছ থেকে? বড় ভুল করছেন কিন্তু! চিকিৎসক কী বলছেন?