Healthy Lifestyle: চুলের বাড়-বৃদ্ধির জন্য কি এসেন্সিয়াল অয়েলের ভূমিকা রয়েছে? আসলটা জেনে নিন
- Published by:Rachana Majumder
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
কোনও কিছুতে না মিশিয়ে সরাসরিভাবে স্কাল্পে প্রয়োগ করা উচিত নয় এসেন্সিয়াল অয়েল। তাই সব সময় নারকেল তেল, জোজোবা অয়েল অথবা আমন্ড তেলের মতো ক্যারিয়ার অয়েলের সঙ্গে মিশিয়েই তা হালকা হাতে স্কাল্পে ম্যাসাজ করতে হবে।
advertisement
1/8

রেশমের মতো ঘন একঢাল চুল অনেক মেয়ের কাছেই যেন স্বপ্ন! এর জন্য বাজারচলতি নিত্য-নতুন শ্যাম্পু, চমৎকারী সিরাম, ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট এবং এসেন্সিয়াল অয়েল পর্যন্ত বিভিন্ন উপাদানের উপর ভরসা করেন বহু মানুষই। আর রেশমের মতো ঘন আর জেল্লাদার চুলের জন্য বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে এসেন্সিয়াল অয়েল।
advertisement
2/8
কিন্তু এর পিছনে কতটা বিজ্ঞান রয়েছে? আর কতটাই বা প্রাচীনপন্থী ভুল ধারণা রয়েছে? Ceuticoz-এর কনসালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট এবং মেডিক্যাল উপদেষ্টা ডা. বিক্রম লাহোরিয়া এসেন্সিয়াল অয়েল এবং এর ভূমিকার উপর আলোকপাত করেছেন।
advertisement
3/8
এসেন্সিয়াল অয়েল আসলে হল কনসেন্ট্রেটেড প্ল্যান্ট এক্সট্র্যাক্ট বা ঘন উদ্ভিজ্জ নির্যাস। এটি সুগন্ধ এবং থেরাপিউটিক উপাদানের জন্য পরিচিত। রোজমেরি, পেপারমিন্ট, টি ট্রি এবং ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল সব সময় চর্চার শিরোনামে থাকে। এগুলি স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালনে সহায়ক। চুলের গোড়া মজবুত করে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুলের ঘনত্বও বাড়ায়। চুল ঝরে যাওয়ার প্রাকৃতিক এবং রাসায়নিক মুক্ত সমাধান হিসেবে বর্ণনা করা হয় এগুলিকে।
advertisement
4/8
রোজমেরি অয়েলের তা-ও কার্যকারিতা রয়েছে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এটি চুলের বাড়-বৃদ্ধি ঘটায়। তবে বেশ কয়েক মাস ধরে নিয়মিত ব্যবহার করলে এর কার্যকারিতা প্রতিফলিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, স্কাল্পের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে রোজমেরি অয়েল। সেই সঙ্গে তা হেয়ার ফলিকলের মধ্যে নিউট্রিয়েন্ট এবং অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।
advertisement
5/8
আবার পেপারমিন্ট অন্যতম জনপ্রিয় বিকল্প। এর কুলিং সেনসেশন শুধু ভালই নয়, এটি স্কাল্পের ভিতর রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। চুলকে ঘন এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। ২০১৪ সালের একটি ছোট্ট সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল যে, পেপারমিন্ট চুলের বাড়-বৃদ্ধির জন্য বেশ কার্যকর।
advertisement
6/8
টি ট্রি অয়েল আবার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল-ধর্মী উপাদানে ভরপুর। যা স্কাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। স্কাল্প পরিষ্কার এবং খুশকিমুক্ত থাকলে চুল মজবুত হয় এবং বৃদ্ধি পায়।অন্যদিকে ল্যাভেন্ডার অয়েলের সুগন্ধ আবার মনকে শান্ত করে দেয়। এর পাশাপাশি এই তেলের রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা স্কাল্পের স্বাস্থ্যকে উন্নীত করে।
advertisement
7/8
এসেন্সিয়াল অয়েল স্কাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখে ঠিকই, কিন্তু এগুলি কোনও জাদুকরী ওষুধ নয়। অর্থাৎ এটি জিনগত টাক পড়ার সমস্যা দূর করতে পারে না। আবার থাইরয়েড কিংবা পুষ্টিগত ঘাটতির কারণে চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যাও দূর করা যায় না। হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় কিন্তু সমাধান দিতে পারে না এসেন্সিয়াল অয়েল। আর ফলাফল পেতেও বেশ সময় লাগে। তাই রাতারাতিই চমৎকার হবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। ব্যবহারের সঙ্গে ধীরে ধীরে এর ফল প্রকাশ্যে আসে।
advertisement
8/8
আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কোনও কিছুতে না মিশিয়ে সরাসরিভাবে স্কাল্পে প্রয়োগ করা উচিত নয় এসেন্সিয়াল অয়েল। তাই সব সময় নারকেল তেল, জোজোবা অয়েল অথবা আমন্ড তেলের মতো ক্যারিয়ার অয়েলের সঙ্গে মিশিয়েই তা হালকা হাতে স্কাল্পে ম্যাসাজ করতে হবে। শ্যাম্পু করার আগে ৩০ মিনিট তা রেখে দিতে হবে। স্কাল্পকে সুস্থ রাখতে সপ্তাহে ২-৩ বার তা প্রয়োগ করতে হবে। তবে সবার আগে প্যাচ টেস্ট করা আবশ্যক।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Healthy Lifestyle: চুলের বাড়-বৃদ্ধির জন্য কি এসেন্সিয়াল অয়েলের ভূমিকা রয়েছে? আসলটা জেনে নিন