বাড়িতে 'এই' তেলে রান্না করেন? খাচ্ছেন এমন ৫ ধরনের খাবার? এগুলিই শরীরে ডাকছে মারণ Cancer, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

*ক্যানসার মহামারী বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে। অনেকে মনে করেন, এটা শুধুই উত্তরাধিকার। কিন্তু সাম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য। দেখা গিয়েছে, আমরা প্রতিদিন যে চার ধরনের খাবার খাই, তা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

*ভাজা খাবার, বারবার ব্যবহৃত তেল (পুনরায় গরম করা তেল), অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার, অ্যালকোহল। অধ্যয়নগুলি সতর্ক করেছে যে তারা শরীরের কোষগুলিকে ক্ষতি করতে পারে, প্রদাহ বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ধীরে ধীরে তা ক্যানসারে পরিণত হতে পারে। কীভাবে তারা স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে এবং কীভাবে তাদের থেকে নিরাপদ থাকা যায় জানুন...

*পুনরায় ব্যবহৃত তেলঃ একবার ব্যবহৃত তেল, বারবার ব্যবহার করা একেবারেই ঠিক নয়। বিশেষত রেস্তোঁরা এবং বাইরের খাবারের স্টলগুলিতে। কিন্তু, যখন তেলটি বারবার গরম করা হয়, তখন এটি বিষাক্ত হয়ে ওঠে এবং 'অ্যাক্রিলামাইড' এবং 'প্লেটলেট অ্যাক্টিভেটিং ফ্যাক্টর' (পিএএফ) এর মতো ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দেয়। এগুলি শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং ক্যানসার কোষ বৃদ্ধি করে।

*পকোড়ার মতো ডিপ ফ্রায়েড স্ন্যাকস বেশিরভাগই পুনরায় গরম করা তেলে তৈরি করা হয়। যদিও এটি একটি ছোট জিনিস বলে মনে হতে পারে, তবে এগুলিই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। নিরাপদ থাকার জন্য, সর্বদা তাজা তেল দিয়ে রান্না করুন এবং গভীর-ভাজা খাবারের বাইরে খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

*ভাজা খাবারঃ সিঙাড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন, চিপস ইত্যাদি হাই ফ্লেমে ভাজা হলে 'অ্যাক্রিলামাইড' এবং 'হেটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস'-এর মতো বিপজ্জনক রাসায়নিক তৈরি হয়। এই রাসায়নিকগুলি ডিএনএ-এর ক্ষতি করে এবং ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পাকস্থলী, কোলন, অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার এবং ভাজাপোড়া খাবারের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। মাঝে মাঝে খাওয়া ঠিক আছে, তবে প্রতিদিন খাওয়া ঠিক নয়। এসব বিষয় থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।

*অ্যালকোহলঃ অ্যালকোহল শরীরে প্রবেশ করলে তা 'অ্যাসিটেলডিহাইড' নামে এক বিষাক্ত রাসায়নিকে রূপান্তরিত হয়। এটি কেবল ডিএনএর ক্ষতি করে না, তবে ক্ষতিগ্রস্থ কোষগুলি মেরামত করার শরীরের ক্ষমতাকেও বাধা দেয়। কম পান করলেও.. লিভার, স্তন, গলা ও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। আপনি যদি প্রতিদিন একই পান করেন তবে ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যায়। ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে হলে অ্যালকোহল কমিয়ে দেওয়া বা একেবারেই ছেড়ে দেওয়াই ভাল।

*অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারঃ প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন ইনস্ট্যান্ট নুডলস, চিপস, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, কুল ড্রিঙ্কস, সসেজ বা নাগেটস। এগুলিতে কৃত্রিম রং, প্রিজারভেটিভ, বেশি পরিমাণে চিনি বা লবণ থাকে। এসব উপাদান দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ তৈরি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

*এগুলি স্তন এবং কোলন ক্যানসার-সহ অনেক ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা বেশি পরিমাণে অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়েছিলেন তাদের বিভিন্ন ধরণের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি ১৩% বেশি ছিল। এসবের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরে রান্না করা টাটকা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।