Curry Leaves Side Effects: ব্লাড সুগার, হাই ব্লাড প্রেশার...৫ জন ভুলেও কারিপাতা বেশি খাবেন না! চরম সর্বনাশ! ঝাঁঝরা শরীর!

আধুনিক স্বাস্থ্য উপকারিতা অর্জনের জন্য প্রাচীন রান্নাঘরের গোপন রহস্যগুলির মধ্যে, বহুল ব্যবহৃত ভেষজ হল কারিপাতা। এই সুগন্ধযুক্ত ভেষজ, যার স্বতন্ত্র তীব্র সুবাস দক্ষিণ এশীয় খাবার থেকে অবিচ্ছেদ্য, একটি অনন্য স্বাদ এবং অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা। টাইপ 2 ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ, প্রাকৃতিক পরিপূরক হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখে ।

কারিপাতার গুণ ঔষধ বা চিকিৎসা যা আমাশয় প্রতিরোধ বা উপশম করতে সাহায্য করে। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে এর ঔষধি মূল্য স্বাদের বাইরেও বিস্তৃত, কারণ পাতাগুলি বিভিন্ন ধরণের উদ্ভিদ যৌগ সমৃদ্ধ। উচ্চ মাত্রার ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের পাশাপাশি, এই উপাদানগুলিকে তাদের অ্যান্টি-ডায়াবেটিক সম্ভাবনার মূল চাবিকাঠি বলে মনে করা হয়। যদিও কারি পাতা একটি প্রাকৃতিক খাবার, রক্তে শর্করার উপর প্রভাব ফেলার ক্ষমতার জন্য সতর্ক পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন, বিশেষ করে যাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য। নয়তো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে৷ বলছেন বিশেষজ্ঞ রাজীব সিং৷

প্রথমে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন৷ কারণ ডায়াবেটিস রোগীরা মেটফর্মিন বা ইনসুলিনের মতো ওষুধ গ্রহণ করলে তবে কারিপাতা পরিমিত খেতে হবে৷ অনিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খেলে বিপজ্জনক ভাবে কমতে পারে রক্তে শর্করার পরিমাণ৷ ক্ষতিকারক কীটনাশক খাওয়া এড়াতে, বিশেষ করে কাঁচা খাওয়ার সময়, সর্বদা ভাল করে ধুয়ে নিন৷ নয়তো শরীরে বিপজ্জনক প্রভাব পড়তে পারে৷ যদিও সাধারণত নিরাপদ, কারি পাতা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, হালকা ফুসকুড়ি থেকে শুরু করে তীব্র ফোলাভাব বা শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে। যাদের ভেষজ বা মশলার অ্যালার্জি আছে তাদের ব্যবহারের আগে প্যাচ পরীক্ষা করা উচিত।

কারি পাতায় ম্যাহানিমাইন এবং কার্বাজোল অ্যালকালয়েড থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তবে, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সঙ্গে অতিরিক্ত সেবন করলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে, যা মাথা ঘোরা বা হৃদরোগের জটিলতা তৈরি করতে পারে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের পরিমিত পরিমাণে কারি পাতা খাওয়া উচিত এবং নিয়মিত তাদের রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করা উচিত। গর্ভবতী মহিলাদের কিছু ভেষজ, যার মধ্যে কারি পাতাও অন্তর্ভুক্ত, সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। যদিও ঐতিহ্যগতভাবে গর্ভাবস্থার লক্ষণগুলির জন্য এটি ব্যবহার করা হয়, অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ প্রাথমিক সংকোচনকে ট্রিগার করতে পারে বা হরমোনের ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে।

কারি পাতা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, বিপাক বৃদ্ধি করে এবং বিষক্রিয়া দূর করতে সাহায্য করে, কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে কারি পাতা পেট ফাঁপা, গ্যাস বা ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে কারণ এর উচ্চ ফাইবার এবং হালকা রেচক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অস্বস্তি এড়াতে, এগুলি পরিমিত পরিমাণে খান, বিশেষত রান্না করে, এবং হাইড্রেটেড থাকুন। পরিমিত পরিমাণে খেলে কারি পাতা আপনার খাদ্যতালিকায় একটি উপকারী সংযোজন হতে পারে। এগুলি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। তবে, কারি পাতার অসুবিধাগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকা অপরিহার্য , বিশেষ করে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য।