করোনার আক্রমণে 'দুর্বল' ফুসফুস, পালমোনারি ফাইব্রোসিসের আশঙ্কা
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
করোনা ভাইরাসের আক্রমণে ৯০ শতাংশ রোগীরই ফুসফুস মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
advertisement
1/8

করোনার জেরে ফুসফুসের মারাত্বক ক্ষতি। পালমোনারি ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হচ্ছেন রোগী। যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সঠিক সময় তাই চিকিৎসার পরামর্শ।
advertisement
2/8
করোনা আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু, আদৌ কী পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছেন তাঁরা। গবেষণা বলছে, করোনার জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফুসফুস। যার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী।
advertisement
3/8
২০১৯-এরের ডিসেম্বর। চিনের ইউহান শহর থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মহামারি করোনার সংক্রমণ। সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা আক্রান্ত ১০০ জনকে নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা চালান ইউহান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। ফলাফল বলছে, করোনা ভাইরাসের আক্রমণে ৯০ শতাংশ রোগীরই ফুসফুস মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
advertisement
4/8
ঘনঘন কাশি। মারাত্বক শ্বাসকষ্ট। এসবই জানান দিচ্ছে, ফুসফুসের অবস্থা ভাল নয়। আট মাসের করোনাকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলছেন, পালমোনারি ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনা আক্রান্ত রোগীরা, যাকে অনেকেই বলছেন কোভিড ফাইব্রোসিস।
advertisement
5/8
কেন ফুসফুসের সমস্যা হচ্ছে। কারণ, করোনা ভাইরাস ফুসফুসের নরম অংশকে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ফলে টিসু মোটা ও শক্ত হয়ে যাচ্ছে। ফুসফুসে রক্ত সঞ্চালন ব্যহত হওয়ায় শরীরে অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার ফলে কাশি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তিভাব। অনেক ক্ষেত্রে মাল্টি অর্গান ফেলিওর।
advertisement
6/8
চিকিৎসকদের আশঙ্কা, পালমোনারি ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত হলে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি। তাই করোনা আক্রান্ত রোগীদের ধূমপান থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
advertisement
7/8
তবে ফুসফুস যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি শরীরের অন্যান্য বেশ কয়েকটি অঙ্গও করোনার হামলায় জর্জরিত। এর মধ্যে রয়েছে হার্ট, কিডনি, গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল ট্র্যাক। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা তৈরি হওয়ায় একাধিক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
advertisement
8/8
তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সুস্থ হয়ে উঠলেও করোনা আক্রান্ত রোগীদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। শারীরিক সমস্যাকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।