ফুলবে বেলুনের মতো... রুটি হবে নরম তুলতুলে! আটা মাখার সময় শুধু দিয়ে দিন এই একটি জিনিস!

ভারতীয়দের প্রধান খাদ্য বলতে এককথায় ভাত এবং রুটি। উত্তর ভারতের মানুষ রুটি বেশি পছন্দ করেন ও দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতীয়রা মূলত ভাত-প্রিয়। তবে বর্তমানে শরীর ও সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে রুটিই বেশি খেয়ে থাকেন সবাই। তবে ভাত ও রুটিকেই আমাদের দেশের প্রধান খাদ্য হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।

দুপুরের খাবার হিসেবে বেশিরভাগ মানুষ ভাত গ্রহণ করলেও রাতে কিন্তু অনেকেই রুটি খেতে ভালোবাসেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেক মানুষ তথা গৃহিণীরা কিন্তু অভিযোগ করেন রুটি বানানো নিয়ে। শক্ত হচ্ছে রুটি অথবা ঠিকমতো ফুলছেও না।

যার ফলস্বরূপ অনেকেই আর বাড়িতে বানানো রুটি না খেয়ে দোকানের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার মোটা-শক্ত রুটি দিয়েই কাজ চালিয়ে নেন।

কিন্তু জানেন কী খুব সহজেই আপনার বানানো রুটিও হবে নরম। আর ফুলবে লুচির মতো! চলুন দেখে। জানিয়ে রাখি, সবসময়ই রুটি তৈরি করার বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। তাই অবশ্যই রুটি তৈরি করার সময় এই নিয়ম গুলোর প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। নাহলে কিন্তু কিছুতেই সঠিকভাবে রুটি তৈরি করা যাবে না।

ফুলকো রুটি তৈরি করার বিশেষ কিছু টিপস : ১) অবশ্যই রুটি তৈরি করার আটা ভালোভাবে ছেঁকে নিতে ভুলবেন না। যেন এতে কোন রকমের পোকামাকড় বা ময়লা না থাকে সেই দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে।

২) রুটির আটা মাখার সময় তাতে সামান্য গরম জল ব্যবহার করুন। তারপর সেই জল দিয়ে ভালো করে আটা মাখুন।

৩) আটার সঙ্গে সামান্য তেলও মেশাতে পারেন। এতে কখনই আটা কিন্তু শক্ত হয়ে যাবে না এবং রুটি বানানোর সময় সুবিধে হবে।

৪) রুটি সুস্বাদু বানাতে আপনারা সামান্য দই ব্যবহার করতে পারেন। শুধুমাত্র দই না রুটি তৈরিতে কিন্তু দুধ ও ব্যবহার করা যায়। তবে প্রতিদিন দুধ বা দই দিয়ে রুটি বানানো সম্ভব নয়। তবে যদি টিফিন হিসেবে রুটি নিয়ে যেতে হয় দূরবর্তী কোন স্থানে তাহলে কিন্তু দুধ বা দই দিয়ে রুটি তৈরি করতে পারেন,এতে রুটি চট করে নষ্ট হবে না আর থাকবে তুলতুলে নরম।

৫) আটা মাখার সঙ্গে সঙ্গে তা দিয়ে রুটি বানাতে শুরু করবেন না। বরং একটা বাটিতে মাখা আটা রেখে তা প্লেট দিয়ে ঢেকে রাখুন। ১০-১৫ মিনিট পর লেচি তৈরি করুন।

৬) রুটি তৈরি করার সময় অনেকেই কিন্তু কম বেশি শুকনো আটা ব্যবহার করে থাকেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই রুটি সেঁকে নেওয়ার আগে ভালো করে সেই সমস্ত শুকনো আটা ঝেড়ে নেবেন।