Cholesterol Heart Attack prevention Tips: শরীরের পরম বন্ধু এই ১০ খাবার, ডায়েটে যোগ করলেই ভস্ম হবে খারাপ কোলেস্টেরল! সুস্থ থাকবে হার্টও...

হৃদয় সুস্থ রাখতে খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা সবচেয়ে বড়। ভারতের বিখ্যাত কার্ডিয়োলজিস্ট ডঃ বিমল ছাজের জানিয়েছেন, কোন কোন খাবার বেশি খেতে হবে এবং কোন জিনিস কম খাওয়া উচিত।

খাবারের কিছু উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। খাদ্যাভ্যাস বদলানো কঠিন হতে পারে ঠিকই, কিন্তু যদি আপনি ছোট ছোট পরিবর্তন করেন, তাহলে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখা সম্ভব এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো প্রাণঘাতী অবস্থা থেকেও নিজেকে রক্ষা করা যাবে।

হৃদয় সুস্থ রাখার জন্য কী খাওয়া উচিত? হৃদরোগ প্রতিরোধে ডায়েট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম ও মানসিক চাপ কমানোও জরুরি।

ইউটিউবে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে ডঃ বিমল ছাজের এমন ১০টি খাবারের তালিকা দিয়েছেন যা কোলেস্টেরল কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

সবুজ পাতা-ওয়ালা সবজি ও লো-ফ্যাট দুধ পালং শাক ও কেল জাতীয় সবজিতে প্রচুর নাইট্রেট থাকে, যা রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালিকে মজবুত করে। লো-ফ্যাট দুধে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে, যা ক্ষতিকর চর্বি ছাড়াই হৃদপিণ্ডের পেশিকে শক্তিশালী করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে।

ওটস ও গ্রিন টি: ওটসে দ্রবণীয় ফাইবার বেশি থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় এবং ধমনী পরিষ্কার রাখে, ফলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। গ্রিন টি-তে ক্যাটেচিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রক্ত চলাচল উন্নত করে এবং হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে।

ফল ও রস: আপনার ডায়েটে প্রতিদিন অন্তত দুটি ফল রাখা উচিত। তাজা ফল ও চিনি ছাড়া প্রাকৃতিক রস শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং হৃদয়কে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয়।

তাজা স্যালাড: আপনার খাদ্যতালিকায় কাঁচা শাকসবজি যেমন- শসা, টমেটো ও গাজর দিয়ে তৈরি স্যালাড রাখা উচিত। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, যা হৃদপিণ্ডকে শক্তিশালী করে।

নাশপাতি ও স্ট্রবেরি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ নাশপাতি হৃদস্পন্দন নিয়মিত রাখতে ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রবেরিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন C প্রদাহ কমায়, ধমনিকে সুস্থ রাখে এবং হার্ট হেলথ উন্নত করে।

কালো আঙুর ও আপেল: কালো আঙুরে থাকে রেসভেরাট্রল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তনালির সুরক্ষা করে। আপেলে থাকে ফাইবার ও পলিফেনল, যা কোলেস্টেরল হ্রাস করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

ডঃ বিমলের মতে, এই সব খাবার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায় এবং দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনও চিকিৎসার বিকল্প নয়। স্বাস্থ্যের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।