Cholesterol Control Tips: দারুণ কাজের সস্তার এই ৭ পানীয়! নিয়ম মেনে খেলেই তরতর করে নামবে কোলেস্টেরল

আজকের দিনে হাজার হাজার মানুষ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে এটি হৃদরোগসহ বহু মারাত্মক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।

তাই চিকিৎসকরা এই পরিস্থিতিতে একটি কঠোর খাদ্যতালিকা মেনে চলার পরামর্শ দেন। তবে কিছু প্রাকৃতিক পানীয়ও রয়েছে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদয়কে সুস্থ রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় সম্পর্কে।

লেবু জল: দিন শুরু করার জন্য এক গ্লাস লেবু জল অত্যন্ত উপকারী। হালকা গরম জলের সঙ্গে একটি লেবুর রস মিশিয়ে খেলে তা হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন C শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং পাচনতন্ত্র পরিষ্কার করে মেটাবলিজম ঠিক রাখে।

বিটের রস: প্রতিদিন সকালে বিটের রস খেলে হৃদপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিটের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক নাইট্রেট রক্তনালিতে চর্বি জমতে বাধা দেয় এবং রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণ করে।

গ্রিন টি: গ্রিন টি-তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। এটি শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল হ্রাস করতেও কার্যকর।

ওটস মিল্ক প্রতিদিন সকালের খাবারে ওট মিল্ক খাওয়া বেশ উপকারী। এতে থাকা ফাইবার শরীরে চর্বি জমতে দেয় না এবং হৃদয়কে সুস্থ রাখে।

ফ্ল্যাক্সসিড ড্রিঙ্কস: ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসির বীজে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। সকালে ফ্ল্যাক্সসিডের পানীয় খেলে হৃদপিণ্ড ভালো থাকে। ফল বা সবজির সঙ্গে ফ্ল্যাক্সসিড মিশিয়ে খেলে আরও বেশি উপকার মেলে।

হলুদ দুধ: এক গ্লাস দুধ নিয়ে তাতে একটু হলুদ মিশিয়ে ফুটিয়ে খেলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। দুধ ও হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ রক্ত চলাচল উন্নত করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: সমপরিমাণ জল ও অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত খেলে হৃদয় সুস্থ থাকে।

দিল্লির পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসক ডা. অনুপম গুপ্তা বলেছেন, "প্রতিদিন সকালে লেবু জল বা বিটের রস পান করলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায় এবং হৃদয় সুস্থ থাকে, এই ধরনের প্রাকৃতিক পানীয় নিয়মিত অভ্যাস করলে ওষুধের প্রয়োজন অনেকটাই কমে যায়।"

Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।