Cholesterol Control Tips: ‘ভুল’ ব্রেকফাস্ট হুড়মুড়িয়ে বাড়াচ্ছে কোলেস্টেরল! সকালে খান এই ৪ খাবার, শরীর থেকে ছেঁটে ফেলবে চিপচিপে পদার্থ

প্রায়শই মানুষ সকালের খাবার নিয়ে খুব বিভ্রান্ত থাকে। অনেকেই আছেন যাঁরা সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিস্কু, কুকিজ, মাফিন, বাটার টোস্ট বা প্যাকেটজাত সিরিয়াল খেতে পছন্দ করেন। এই ধরণের নাস্তা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয় না।

এই সমস্ত জিনিসে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি, যার কারণে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মেদও বাড়তে শুরু করে। অন‍্যদিকে, কিছু লোক আছেন যারা সকালের ব্রেকফাস্টে উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার খান যেমন ছোলে-বাটুরে, লুচি, পরোটা ইত্যাদি।

যদি আপনার ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তাহলে আপনার এই সমস্ত জিনিস থেকে দূরে থাকা উচিত। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে আপনি যা খান তা কেবল আপনার শরীরকে শক্তি দেয় না বরং সারা দিন পেট ভরিয়ে রাখে।

এমন পরিস্থিতিতে, আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আপনার সকালের ব্রেকফাস্টে উচ্চ প্রোটিন, উচ্চ ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং কিছু কার্বোহাইড্রেট অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। হৃদরোগের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য, আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

কোলেস্টেরল আমাদের রক্তে বিদ্যমান একটি মোমের মতো পদার্থ। কোলেস্টেরলের মাত্রা ২০০ মিলিগ্রাম এর বেশি হয় তাহলে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আমাদের রক্তে দুই ধরণের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়, ভাল কোলেস্টেরল (উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন) এবং খারাপ কোলেস্টেরল (নিম্ন ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন)।

খারাপ কোলেস্টেরলকে খুবই বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। ধমনীতে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে, রক্ত সঠিক পরিমাণে হৃদপিণ্ডে পৌঁছায় না, যার কারণে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক ইত্যাদির ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রতিদিন সকালে এগুলি খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ওটস- সকালের ব্রেকফাস্টে ওটস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল বলে মনে করা হয়। আপনি এতে প্রচুর ফলও যোগ করতে পারেন। এটি আপনার পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা অনুভব করায়। এতে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

ডিম- ডিমে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। এতে উপস্থিত উচ্চ প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু ডিম খাওয়ার সময়, এর ভেতরের হলুদ অংশটি বেশি না খাওয়ার চেষ্টা করুন।

অ্যাভোকাডো- অ্যাভোকাডোতে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায় যা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। সকালের নাস্তায় অ্যাভোকাডো খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে।

বেরি- বেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং দ্রবণীয় ফাইবারে ভরপুর। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনি স্মুদি তৈরি করেও পান করতে পারেন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)