High Cholesterol Control: ‘এই’ সব্জি কোলেস্টেরলের যম! শরীর থেকে নিংড়ে বের করে দেয় ফ্যাট...হার্টের জন্যেও মারাত্মক ভাল, শুধু খাবার আছে নির্দিষ্ট পদ্ধতি

রক্তে উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টরেল থাকা এখন প্রতিটা ঘরের সমস্যা৷ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়ে৷ যাঁরা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগেন তাঁদের প্রতিনিয়ত ওষুধ খেয়ে যেতে হয়৷

ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু উপায়েও শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। এই ঘরোয়া টোটকার মধ্যে একটি হল টম্যাটো। কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য টম্যাটো প্রায় ওষুধেরই নামান্তর মাত্র। শুধু খেতে হয় একটু অন্য ভাবে৷

টম্যাটো প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, পটাশিয়াম এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টিতে ভরপুর। এই কারণে, এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক বলে প্রমাণিত হতে পারে। টম্যাটো শরীরকে সতেজ রাখে এবং শক্তি জোগায়।

মেডিক্যাল নিউজ টুডে রিপোর্টের মতে, টম্যাটোয় শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিন থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে খুবই কার্যকরী। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন ২৫ মিলিগ্রাম লাইকোপেন গ্রহণ করলে এলডিএল কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। একটি টম্যাটোতে প্রায় ৪ গ্রাম লাইকোপিন থাকে।

এক গ্লাস টম্যাটোর রসে লাইকোপিনের পরিমাণ ২৫ গ্রাম বা তার বেশি হতে পারে। তাই প্রতিদিন এক গ্লাস টম্যাটোর রস খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ১০ শতাংশ কমানো যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে এই রস সেবন করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা সম্পূর্ণ বিপরীত হয়ে স্বাভাবিক পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

টম্যাটো কোলেস্টেরল কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এটি হাড়ের জন্যও উপকারী। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে যে প্রতিদিন টম্যাটোর জুস পান করলে শরীরে জমে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়।

জানলে অবাক হবেন টম্যাটোর রস রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন এক গ্লাস টম্যাটোর রস পান করলে হাই কোলেস্টেরল এবং হাই প্রেশারের রোগীদের উপকার হয়৷ রক্তচাপ এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল টম্যাটোর রসে নুন না যোগ করে পান করা উচিত। নুন ছাড়া টোম্যাটোর রস বেশি উপকারী। এতে নুন যোগ করা এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

টম্যাটোর রস লিভার পরিষ্কার করতেও বেশ কার্যকরী। টম্যাটোর রস লিভারকে ডিটক্সিফাই করে এবং শরীরের প্রদাহ কমায়। তবে, আপনি যদি কিডনিতে পাথরের রোগী হন বা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে সমস্যা থাকে, তবে টম্যাটোর রস কখনওই পান করবেন না। কিডনিতে পাথরের রোগীদের ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়েই টম্যাটো খাওয়া উচিত।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ নিশ্চিত করে না৷ প্রত্যেকের শরীর এবং অসুস্থতার ধরন একেক রকম৷ কোনও কিছু নতুন জিনিস প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷ )