TRENDING:

প্লাস্টার বা রডের ঝক্কি নেই! এবার তিন মিনিটেই আঠা দিয়ে জুড়ে যাবে ভাঙা হাড়! যুগান্তকারী আবিষ্কারের দাবি চিনের গবেষকদের

Last Updated:
কথায় আছে হাড় থাকতে হাড়ের মর্ম কেউ বোঝে না। কিন্তু, সেই হাড় যদি ভেঙে যায় বা চিড় খায় তাহলেই বিপত্তি। হাড় ভাঙা মানেই প্লাস্টার করো, ধাতব প্লেট বসাও। হাজারটা ঝক্কিও রয়েছে। আবার একবার হাত বা পায়ের হাড় ভাঙলে তা জোড়া লাগাও কম ঝক্কির ব্যাপার নয়। কিন্তু, এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা নাকি এমন এক আঠা তৈরি করে ফেলেছেন যা কিনা হাড় জোড়া দিয়ে দেবে। ভাঙা হাড় আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিলেই তা নিখুঁত ভাবে জুড়ে যাবে।
advertisement
1/6
প্লাস্টার বা রডের ঝক্কি নেই! এবার তিন মিনিটেই আঠা দিয়ে জুড়ে যাবে ভাঙা হাড়!
কথায় আছে হাড় থাকতে হাড়ের মর্ম কেউ বোঝে না। কিন্তু, সেই হাড় যদি ভেঙে যায় বা চিড় খায় তাহলেই বিপত্তি। হাড় ভাঙা মানেই প্লাস্টার করো, ধাতব প্লেট বসাও। হাজারটা ঝক্কিও রয়েছে।আবার একবার হাত বা পায়ের হাড় ভাঙলে তা জোড়া লাগাও কম ঝক্কির ব্যাপার নয়। কিন্তু, এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা নাকি এমন এক আঠা তৈরি করে ফেলেছেন যা কিনা হাড় জোড়া দিয়ে দেবে। ভাঙা হাড় আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিলেই তা নিখুঁত ভাবে জুড়ে যাবে।
advertisement
2/6
চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের বিজ্ঞানীরা হাড় জোড়া আঠা তৈরি করেছেন বলে দাবি করেছেন। আঠার নাম 'বোন ০২'। গবেষণাটি যার তত্ত্বাবধানে হচ্ছে সেই বিজ্ঞানী লিন জিয়ানফেং দাবি করেছেন হাড় যে ভাবেই ভাঙুক না কেন তাতে আঠা লাগিয়ে দিলেই কেল্লাফতে। আঠার জোরে মাত্র তিন মিনিটেই ভাঙা হাড় নিপুণভাবে জোড়া লেগে যাবে।
advertisement
3/6
হাড়ের অনেক স্তর থাকে, একেবারের বাইরে একটা পর্দা থাকে যাকে পেরিঅস্টিয়াম বলে তারপর থাকে কর্টিকল বোন এবং এর মাঝেই থাকে মজ্জা। ফলে হাড়ের কোনও জায়গা ভেঙে গেলেই তার ভিত নড়বড়ে হয়ে যায়।
advertisement
4/6
প্রধানত ফ্রাকচার হয় কোনও আঘাত থেকে। এতে হয় হাড় সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে যায় অথবা হাড়ের সঙ্গে যে পেশি, লিগামেন্ট জুড়ে থাকে, সেগুলি অনেক সময়ে ছিঁড়ে বেরিয়ে আসতে পারে।অন্যদিকে, অস্টিওপোরোসিস , ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস থাকলে বা অন্য কারণে স্ট্রেস ফ্র্যাকচারও হতে পারে। আবার জন্মগত কারণে হাড়ের শক্তি কম থাকলে সহজেই তাতে ফ্র্যাকচার হতে পারে। সে যে কারণেই হাড় ভাঙুক না কেন, তার চিকিৎসা খুবই জটিল। প্রথমেই এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, কিছু ক্ষেত্রে এমআরআই করে জায়গাটা দেখে নেওয়া হয়। তার পরে স্প্লিন্ট দিয়ে সাময়িক ভাবে জায়গাটাকে ধরে রাখা হয়। এই সময়েই চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেন, সেখানে প্লাস্টার করা হবে, না কি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন আছে। দুটো আলাদা হয়ে যাওয়া হাড়ের টুকরোকে এক রেখায় নিয়ে আসা হয় প্লাস্টার, প্লেট, স্ক্রু বা রডের সাহায্যে।
advertisement
5/6
তার পরেও ওই জায়গার পেশির সঞ্চালন ঠিক হচ্ছে কি না, তা খেয়াল রাখতে হয়। চিনা বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এত কিছু জটিল প্রক্রিয়ায় না গিয়ে শুধু যদি খানিকটা আঠা লাগিয়ে দেওয়া যায়, তা হলেই হাড় জুড়ে যেতে পারে। ১৫০ জনের উপর পরীক্ষা করে নাকি সাফল্যও পাওয়া গিয়েছে। প্রত্যেকেরই ভাঙা হাড় জুড়েছে।
advertisement
6/6
তবে গবেষণাটি সকলের জন্য কার্যকরী হবে কি না, সে উল্লেখ করেননি গবেষকেরা। গবেষণাটি পরীক্ষার পর্যায়তেই আছে। যে কোনও রকম ফ্র্যাকচার সারাতে যদি তা কার্যকর হয়, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে যে নতুন মাইলফলক তৈরি হবে
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
প্লাস্টার বা রডের ঝক্কি নেই! এবার তিন মিনিটেই আঠা দিয়ে জুড়ে যাবে ভাঙা হাড়! যুগান্তকারী আবিষ্কারের দাবি চিনের গবেষকদের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল