Spices to Control Blood Sugar: ইনসুলিনের মতোই কমাবে ব্লাড সুগার! তাড়াবে গ্যাস অম্বল বদহজমকেও! মুখে ফেলুন রান্নাঘরের ৫ মশলা

শুনতে আশ্চর্য লাগবে, তবে কথাটা একেবারে খাঁটি- আমাদের রান্নাঘর কোনও মেডিক্যাল স্টোরের থেকে কম কিছু নয়। রান্নাঘরে অনেক বিশেষ মশলা আছে যা শীতকালে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই ৫টি মশলা সেবন করলে শীতের অনেক রোগ সেরে যেতে পারে।

শীতের মরশুমে আমরা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে নিজেদের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন করে থাকি। শীতকালে আমরা সবাই আদা চা পান করি। কিন্তু, আদা পুরোটা খেয়ে নিলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী হবে। আদার মধ্যে এমন অনেক উপাদান পাওয়া যায় যা শীতের মরশুমে আমাদের রোগ থেকে রক্ষা করে। বলছেন পু্ষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা৷

আদার গরম প্রকৃতি এক্ষেত্রে সহায়ক হয়। আদা শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং স্নায়ুকে শক্তিতে পূর্ণ করে। আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা মাথাব্যথা এবং পেশির ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।

শীতকালে হলুদ খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিপ্যারাসাইটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

হলুদ শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি-র‍্যাডিক্যাল ধ্বংস করে, যার ফলে কোষের ভিতরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে যায়। ফ্রি-র‍্যাডিক্যাল দূর হওয়ার কারণে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে।

শীতের মরশুমে বাজারে মেথি শাকের চাহিদা বেশি থাকে। তবে মেথি মশলা হিসাবেও বেশ উপকারী, এটিও গরম প্রকৃতির। মেথিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। ভিটামিন এ, সি, ই সহ প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান মেথিতে পাওয়া যায়। এই সমস্ত উপাদান চুল এবং ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মেথি খাওয়া সর্দি-কাশিও দূরে রাখে।

এটি সাধারণত রান্নায় গরমমশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে এটি শুধু সবজির স্বাদই বাড়ায় না, আমাদের শরীরের জন্যও তা যথেষ্ট উপকারী। জায়ফলের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।

জায়ফলের উচ্চ ফাইবার হজমের এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে, যার কারণে খাবার সহজে হজম হয়। জায়ফলের মধ্যে উপস্থিত কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্য বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক।

হাজার হাজার বছর ধরে জ্বর, ফুলে যাওয়া, সাধারণ সর্দি এবং বমির ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এটি। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে দারচিনি খুবই কার্যকরী। এটি শরীরে ইনসুলিনের মতো কাজ করে। এটির নিয়মিত সেবনে রক্তে শর্করার মাত্রা যথাযথ রাখা যায়।