Blood Sugar: ঝড়ের বেগে কমবে ব্লাড সুগার! রক্তে শর্করার পরিমাণ নামবেই! শুধু সাধারণ চাল-আটার বদলে খান সস্তার এই ৭ খাবার!

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে, এবং কী খাবেন তা সিদ্ধান্ত নেওয়া আরও কঠিন হতে পারে! যদিও বেশিরভাগ মানুষ ফ্যাড ডায়েট বেছে নেয়, কিছু দেশি শস্য রয়েছে যা ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর যা প্রতিদিন খাওয়ার সময় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরভাবে সাহায্য করতে পারে।

এখানে কিছু সাধারণ শস্য এবং প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সেগুলি যোগ করার জন্য কিছু সহজ ধারণা দেওয়া হল। বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল৷

বাজরায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা শরীরে গ্লুকোজ রিসেপ্টর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এর উচ্চ ফাইবার উপাদান চিনির শোষণকে ধীর করতেও সাহায্য করে। এই শস্যদানাকে খাদ্যতালিকায় যোগ করার একটি সহজ উপায় হল গমের রুটির পরিবর্তে বাজরা রুটি তৈরি করা অথবা শাকসবজি দিয়ে খিচুড়ি তৈরি করা।

জোয়ার হল একটি গ্লুটেন-মুক্ত শস্য যা প্রোটিন, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এর কম গ্লাইসেমিক সূচক এটিকে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য আদর্শ করে তোলে। রুটির জন্য গমের আটার পরিবর্তে জোয়ারের আটা ব্যবহার করুন, অথবা সকালের নাস্তায় জোয়ার উপমা রান্না করুন।

রাগি ক্যালসিয়াম এবং ডায়েটারি ফাইবারের একটি পাওয়ার হাউস, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখার জন্য এটিকে চমৎকার করে তোলে। সকালে রাগি পরিজ উপভোগ করুন, অথবা পুষ্টিকর খাবারের জন্য রাগি দোসা তৈরি করুন।

অনেক দেশি পরিবারের প্রধান খাদ্য হল বাদামি চাল। এর ফাইবারের পরিমাণ চিনি শোষণকে ধীর করে দেয়। এটি সাদা ভাতের একটি সাধারণ বিকল্প কারণ বাদামি চাল প্রায় প্রতিটি ভাতের খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন ক্ষীর, বিরিয়ানি বা পোলাও।,

বার্লিতে প্রচুর পরিমাণে বিটা-গ্লুকান থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি স্যুপ, স্টু, পানীয়তে অথবা খিচুড়িতে ভাতের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

পালিশ না করা লাল চাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং সাদা ভাতের তুলনায় এর গ্লাইসেমিক সূচক কম। সাদা ভাতের বিকল্প হিসেবে এই চাল ব্যবহার করা যেতে পারে।