এ কী সাংঘাতিক কথা শোনাচ্ছে গবেষণা? সুগার-প্রেশারের কারণে ভেঙে যাচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক! পার্টনারের কাছে ঘেঁষতে ইচ্ছে করছে না আর

আজকাল প্রত্যেকের লাইফস্টাইল বিগড়ে গিয়েছে বলা যায়। বাড়তে থাকা চাপ, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, সম্পূর্ণ ঘুম না হওয়া- এই সব অভ্যাস এখন সাধারণ হয়ে গিয়েছে। এই লাইফস্টাইলের কারণে অনেক মানুষ কম বয়সেই ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেশারের মতো রোগের শিকার হয়েছেন। এই রোগ শুধু শরীরকে নয় বরং সম্পর্ককেও প্রভাবিত করে।

রিলেশনশিপ এক্সপার্ট প্রিয়াঙ্কা শ্রীবাস্তব জানান, যাঁদের হাই ব্লাডপ্রেশার বা ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা প্রায়ই এই রোগের ওষুধ নেন। এই রোগ তাঁদের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে যার ফলে তাঁরা খিটখিটে হতে পারেন। এর ফলে তাদের পার্টনারের প্রতি ইমোশনাল কানেকশন কম হতে পারে। পার্টনারকে বেশি সময় দিতে পারেন না। এছাড়া এই রোগের কারণে লিবিডো অর্থাৎ পার্টনারের কাছে আসার ইচ্ছা কমে।

কিছু মানুষের কাছে এই দায়িত্ব বোঝা মনে হতে শুরু করে। ফলে তারা খিটখিটে হয়ে যায়।

কিছু মানুষ অসুস্থ পার্টনারকে কম মূল্যবান মনে করতে শুরু করেন। তাঁরা সম্পর্ক ভাঙার কথাও ভাবতে পারেন।

যদি কোনও অসুখ দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তাহলে এটি পুরো পরিবারের উপর আর্থিক বোঝা ফেলে। একজন বিবাহিত ব্যক্তিকে চিকিৎসার খরচ আলাদা করে বহন করতে হলে ঘরের বাজেট বিঘ্নিত হয়। এই চাপ সম্পর্কের উপরও প্রভাব ফেলে।

উচ্চ রক্তচাপের ফলে অনেক সময় মাথাব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে মাথার পেছনের দিকে। এটি দীর্ঘস্থায়ী এবং তীব্র হতে পারে। এই মাথা ব্যথা আমাদের ইমোশন বা ভাল হরমোনকে প্রভাবিত করতে পারে।

ফিটনেসের উপর মনোযোগ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। পার্টনারের সঙ্গে হাঁটা, ব্যায়াম বা কোনও ফিজিকাল অ্যাক্টিভিটি নিয়মিতভাবে করা উচিত। অ্যাক্টিভ থাকার ফলে সম্পর্ক শক্তিশালী হয়। খাবারে থেকে নুন ও চিনি কম করে দিন। একসঙ্গে সাইক্লিং বা সুইমিং করুন। উইকেন্ডে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন এবং একে অপরকে সময় দিন। যখন কাপলের সম্পর্ক পজিটিভ হয় তখন তাদের মেন্টাল হেলথ ভাল থাকে এবং স্ট্রেস থাকে না। এছাড়া প্রতিদিন সকালে তাড়াতাড়ি উঠুন এবং রাতে সময়মতো ঘুমোন।