Blood Pressure: আপনার ব্লাড প্রেশার কি ৯০/৬০ mm Hg এর নীচে..? সতর্ক হন! ঝটপট করুন এই কাজগুলি! হাতেনাতে ফল, গ্যারান্টি!

গোটা বিশ্বে বেশিরভাগ মানুষই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হলে এটি কিন্তু জীবনের জন্য বড় ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে। রক্তচাপ হল ধমনীর দেয়ালে রক্ত ​​প্রবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবাহিত চাপ।

ধমনী হল রক্তনালী যা হৃদয় থেকে শরীরের বাকি অংশে রক্ত পৌঁছে দেয়। শরীরের সর্বত্র রক্ত ​​বহন করার জন্য ধমনীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চাপ প্রয়োজন। এই চাপ বেশি হলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি হার্টের ক্ষতি করতে পারে।

এর ফলে স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো হার্টের সমস্যা হতে পারে। এই জটিলতাগুলি প্রতিরোধ করার জন্য রক্তচাপ বজায় রাখা খুবই অপরিহার্য।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, একটি স্বাভাবিক রক্তচাপ রিডিং সাধারণত ১২০/৮০ mm Hg হয়। যদি রক্তচাপ ধারাবাহিকভাবে এই সীমা অতিক্রম করে তবে এটি উচ্চ রক্তচাপ নির্দেশ করতে পারে, যা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়।

অন্যদিকে, ৯০/৬০ mm Hg এর নীচে রক্তচাপকে হাইপোটেনশন (নিম্ন রক্তচাপ) বা লো ব্লাড প্রেশার বলে মনে করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সমীক্ষা বলছে, ভারতে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তবে তাদের মধ্যে মাত্র ১২% ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।

সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ভারত ২০২৫ সালের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ ২৫% হ্রাস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আজ এই প্রতিবেদনে পাঁচটি অত্যন্ত সহজ ও সাধারণ জীবনযাত্রার পরিবর্তন দেখে নেওয়া যাক যা স্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে:

সুষম খাদ্য: একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। অতএব, সবার আগে আপনার ডায়েটে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধ-সহ সম্পূর্ণ খাবারের উপর ফোকাস করা উচিত।

এক্ষেত্রে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা এবং শাক-সবজি, সোডিয়ামের মাত্রা ও ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ কমাতে পারে।

লবণ খাওয়া সীমিত করুন: টেবিল লবণে সোডিয়াম থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। এছাড়াও, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং রেস্টুরেন্টে খাওয়া খাবারে সোডিয়াম বেশি থাকে। এগুলি অবশ্যই উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম বড় কারণ হতে পারে।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন: ব্যায়াম রক্তচাপ কমাতে, হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিটের মাঝারি-তীব্রতার অ্যারোবিক ব্যায়াম বা ৭৫ মিনিটের উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম করুন। পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুবার পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম করুন।

মানসিক চাপ কমায়: স্ট্রেস উচ্চ রক্তচাপ বাড়াতে পারে। আপনি যখন চাপে থাকেন, তখন আপনার শরীর অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসলের মতো হরমোন নিঃসরণ করে, যার ফলে আপনার হৃদপিণ্ড দ্রুত স্পন্দিত হয় এবং আপনার রক্তনালীগুলি সংকুচিত হয়।

এর ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। ব্যায়াম, যোগ ব্যায়াম বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রাণায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা স্বাস্থ্যকর রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

ভালো ঘুম: ভাল ঘুম সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘুমের সময়, এটি আপনার শরীরকে শিথিল করতে, চাপ এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, তাই এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপ কমায়।

শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।